বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি

0
445
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বেপরোয়া অর্থ সংগ্রহে তা বাস্তবায়ন যোগ্য নয় অভিহিত করে একে প্রত্যাখান করেছে বিএনপি। সেই সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের হার কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা এবং ব্যাংক আমানতের ওপর বর্ধিত হারে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছে দলটি। জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের ১০ দিন পর রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানের বিএনপির চেয়াপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বাজেট প্রত্যাখানের কথা জানান। তিনি বলেন, এই বাজেট বিশ্লেষণ করে আমরা যুগপৎ বিস্মিত, ক্ষুব্ধ এবং হতাশ হয়েছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেটে উপেক্ষিত থেকেছে মানবসম্পদ খাত, এমনকি কৃষিও প্রাধান্য পেয়েছে চোখ ধাঁধানো কিছু মেগা প্রকল্প। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ও জনকল্যাণমূলক খাতসমূহকে অবহেলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এটা নিছক বিরাট অংকের প্রচারণার ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। এটা মানুষকে বোকা বানানোর বাজেট, এটা প্রতারণার বাজেট। বাজেট দেখে তার মনে হয়েছে, কল্যাণমুখী লক্ষ্যগুলো অর্থমন্ত্রীর বিবেচনায় আসেনি। এই কারণে আমরা আশাহত ও ক্ষুব্ধ। জনগণের কাছে সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেই এই বঞ্চনার বাজেট জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এই বাজেট আমরা প্রত্যাখান করছি।

একই সঙ্গে বিভিন্ন পণ্যের ওপর আরোপিত ১৫% ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) হার ভোক্তাদের সহনীয় পর্যায়ে হ্রাস এবং ব্যাংকের আমানতের ওপর বর্ধিত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বাজেটে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ঝুঁকির আশংকা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেটের কিছু কিছু প্রস্তাব আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বড় ধরণের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। লোকের চোখে দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে গিয়ে, দ্বিগুণ চারগুণ অর্থ ব্যয় করে একদিকে সম্পদের অপচয় ঘটানো হচ্ছে, অন্যদিকে রেণ্ট-সিকিং বা দুর্নীতির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। প্রকল্প গ্রহণের স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে না, প্রকল্প ব্যয়ে স্বচ্ছতা নেই, ব্যয়ের গুণগত মান বজায় রাখা হচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, সামগ্রিক বিবেচনায় নিলে বাজেটে কর কাঠামো অত্যন্ত পশ্চাত্মুখী। বেশির ভাগ কর আসবে পরোক্ষ সূত্র থেকে। পরোক্ষ করের বোঝা ধনী-গরীব নির্বিশেষে সব শ্রেণীর ভোক্তাদের ওপর সমান হারে বর্তায়। এই ধরণের কর জনকল্যাণ বিরোধী। এই বাজেটে সর্বনিম্ন আয়করযোগ্য আয়ের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। মূল্যস্ফীতির উপর ভিত্তি করে এই স্তরটি নির্ধারণ করা যেতো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ।