নিউজ ডেস্ক : বাড়িতে পড়ে বাবার কফিনবন্দি লাশ। এদিকে মন্দিরে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ছেলে। এই ঘটনা দেখে চক্ষু চড়কগাছ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার উত্তর দিয়ারা গ্রামের মানুষের। কিন্তু ছেলের কথায়, বাবার দেয়া কথা রাখতেই এদিন বিয়ে করতে রাজি হলেন তিনি। তবে বুধবার মন্দিরে কোনোরকমে বিয়ে সেরে এসেই সোজা শ্মশানে ছুটলেন ছেলে। গত মঙ্গলবার বাদুড়িয়ার দেয়াড়া গ্রামের অসিতবরণ মণ্ডলের (৬৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। জানা গেছে, মৃত অসিতবরণ মন্ডল ও স্ত্রী আলো দেবীর একমাত্র সন্তান কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল। কয়েক মাস আগে আলোদেবী ও অসিতবাবু ছেলে কৃষ্ণেন্দুর বিয়ে ঠিক হয়েছিল গড়িয়াহাটের কালিকাপুর এলাকায় মণিকা সাহার সঙ্গে। বুধবার ছিল তাদের বিয়ে। বিয়ের তোড়জোড়ও শেষ হয়েছিল। বাড়িতে আত্মীয়রা এসে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই বিপত্তি। এ খবর দিয়েছে সংবাদ প্রতিদিন।
আয়োজনের মধ্যেই মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন অসিতবরণবাবু। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। পাত্র কৃষ্ণেন্দু বাবার মৃতদেহ নিয়ে সৎকারের পরিকল্পনা করছিলেন। সে সময় মা আলোদেবীই ছেলেকে বিয়ে করার কথা বলেন। মায়ের কথায় বিয়েতে রাজি হয় ছেলে কৃষ্ণেন্দু।বুধবার বাড়িতে স্বামীর লাশ বরফ চাপা দিয়ে ছেলেকে বরের পোশাক পরিয়ে পাশের মন্দিরে হাজির হন আলোদেবী। পাত্রীপক্ষ খবর পেয়ে কনেকে নিয়ে ওই মন্দিরে অপেক্ষা করছিলেন। ঠাকুরমশাই মন্ত্র পড়ে চার হাতে এক করে দেন।
কৃষ্ণেন্দু বলেন, “বাবা-মায়ের কথায় এবং একটি মেয়ের সম্মানের কথা ভেবে বিয়ে করলাম।” আলো দেবী বলেন, “স্বামী তো চলে গিয়েছে। কষ্ট হচ্ছে কিন্তু একজন নারী হয়ে আরেক নারীর সম্মান রক্ষা করাই আমার মূল লক্ষ্য।” বিয়ে শেষে বাবার লাশ জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নতুন দম্পতি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.