বাবা আল্লাহর ওয়াস্তে একটা রুটি দাঁও তিন ধরে খাইনা

0
601
blank

 

নাইম তালুকদার: শরীরটা খুব খারাপ।পৃবে থেকে চিন্তা মগ্ন কারন সামনে আমার পরীক্ষা। অপেক্ষার প্রহর আর চিন্তায় বেস্ত থাকতে থাকতেই বেজে উঠল পরীক্ষার ঘন্ঠা।আজ পরীক্ষা দিতে আসি প্রানের স্বপ্ননের শহর সুনামগঞ্জের দ্বীনি সিনিয়র মাদরাসায়। যাই হোক মহান মাবুদের ফজল ও করমে শান্ত পরিবেশে সম্পন্ন হল আজকে পরীক্ষাটি। পরীক্ষা শেষে আস্তে আস্তে পায়ে হেটে চলে আসি নিজ গন্তব্যে পৌঁচার লক্ষে সুনামগঞ্জের পুরাতন বাষ্টেন্ডে।পায়ে হেটে আসার ফলে পেটে বিষন খিঁদা লাগলো,খিঁদার তাড়না একটি গাড়ি মিস করেও প্রবেশ করতে হল রেষ্টুরেন্টে। নিজের সাধ্য অনুযায়ী হালকা কিছু খাবার খেয়ে গাড়ি উঠার উদ্দেশ্যে রেষ্টুরেন্টের প্রথম গেইটে পা রাখা মাত্রই নয়নে ভেসে উঠে একজন বায়ো বৃদ্বা ভিক্ষুক মহিলার চিত্র।কানে বেঁজে উঠে বাবা,একটা রুটি দাঁও তিন ধরে খাইনা…..বলছেন রেষ্টুরেন্ট কর্মকর্তাকে পাল্টা জবাবে রেষ্টুরেন্ট কর্মকর্তা সরো এখান থেকে দিবনা…(না) বাবা তিন ধরে খাইনাতো, তাতে আমাদের কি, হয়েছে…!

জিজ্ঞেস করলাম ভিক্ষুক বায়ো বৃদ্বা ভিক্ষুক মহিলাটিকে মা আপনি কি? সত্যিই তিন ধরে খাবার খান না। ..প্রতি উত্তরে না বাবা গত দুই দিন আগে ঢাকা থেকে খেয়ে আস ছিলাম আজ পযন্ত দু মুটো ভাত পরেনি আমার পেটে…… হোটেল ওয়ালাদের কাছে চাইলে ও তাড়িয়ে দেয় এখন আর কি, করি খিঁদার তাড়নায় চটফঠ করে ঘূরে বেড়াচ্ছি শহরের পুরাতন বাষ্টটেন্ডের প্রতিটি দোকানে দোকানে…..। পরে বায়ো বৃদ্বা ভিক্ষুক মহিলার বাড়ি ও গ্রামের পরিচয় জানতে চাইলে লজ্জায় হাবুডুব খেয়ে সরে যান তিনি….। প্রিয় বিত্রবান আমার দেশের ভাইও বোনেরা আজকে দেখুন বাংলাদেশে বর্তমানে ৬৪,জেলার এক জেলা সুনামগঞ্জের ভিক্ষুকদের যে অবেস্তা আর বাকি জেলাগুলার ভিক্ষুকদের অবেস্তা হবে কি? আমার মনেহয় আমাদের কাছ থেকে মানবিক মূল্যোবোধ আর অসহায় মানুষের প্রতি দরদ হারিয়ে গেছি আমারা। হারিয়ে গেছি আমরা ওমর উসমান আর আলী আবু বক্করের নীতি।অসহায় আর ভিক্ষুকদের আহাজারীর ধ্বনি কি?একবার ও নাড়া দেওয়না আমাদের নিষ্টুর বিবেক,কে আমার কি ভূলেগেছি বাংলার খোকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষনীয় দরদি ইতিহারের ঘঠনা নিজে না খেয়ে ও খাওয়াতেন বাংলার অসহায় দ্ররিদ ভিক্ষুক মানুষকে কোথায় লুকিয়ে আছে বাংলার খোকার কাহীনি।হে বিত্তবান ভাই-বোনেরা তোমাদের নিষ্টুর হ্নদয়ে কি? একবারো সাড়া দেয় না ভিক্ষুকের আহাজারী……।

লেখকঃ সাংবাদিক বার্তা সম্পাদক সিলেট টাইমস।