বিএনপির নতুন কমিটি গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করবে: মির্জা ফখরুল

0
471
blank

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের আস্থা আছে, এই কার্য্করী কমিটির মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সব ক্রাইসিস ওভারকাম করতে পারবেন। আমাদের যে লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আমরা করতে পারব। বিএনপির নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর সোমবার প্রথমবারের মতো দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মুহূর্তে কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কারণ কমিটি ঘোষণা হয়ে গেছে। কোনো ব্যক্তি বা কেউ যদি মনে করেন, আমি বঞ্চিত হয়েছি, তাহলে তার উচিৎ হবে অপেক্ষা করা পরবর্তী কাউন্সিলের জন্য। গত ১৯ মার্চ জাতীয় কাউন্সিলে দল খালেদা জিয়াকে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী তিনি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে দিয়েছেন। এ কমিটি নিয়েই বিএনপি আগামী তিন বছর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে। ফখরুল বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) ইদানিংকালে বিএনপির ভুল-ত্রুটি খুঁজছেন। আপনারা কিন্তু সরকারি দলের ভুল-ত্রুটি খুঁজছেন না, সেগুলোকে সেভাবে তুলে ধরছেন না। যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ব্যাহত হয়, গণতন্ত্র থাকে না, যখন সরকারি চাপ মিডিয়ার ওপর বেশি করে পড়ে, তখন বাধ্য হয়েই আমরা মনে হয়, এ ধরনের একটা প্রবণতা দেখা যায় যে, বিরোধী দলকে যতটা পারা যায় চাপ দেয়ার জন্য। আমরা অতীতেও এ সমস্ত অবস্থা ফেইস করেছি।

ত্যাগী ও যোগ্য অনেকে বাদ পড়েছেন বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কেউ বাদ পড়তেই পারেন। সবাইকে অ্যাকোমোডেট করা সম্ভব নয় তো। এটা হতেই পারে। একটা দলের মধ্যে হাজার হাজার যোগ্য লোক আছে, তাদের সবাইকে তো যুক্ত করা সম্ভব না। বঞ্চিতদের বিক্ষোভের প্রসঙ্গ তুলে তাদের জন্য কোনো পরামর্শ আছে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, বিক্ষোভ করে তো কোনো লাভ হবে না। আর ধৈর্য্য তো ধরতেই হবে। কারণ শেষ কথা বলতে তো কিছু নেই।

বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বলছি যে, তিনি একটা রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বির্বজিত উক্তি করেছেন। এটা অভিপ্রেত নয়। কমিটি ঘোষণার পর নেতা-কর্মীরা জেগে উঠেছ’ কি না- এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেটা আপনারা যেভাবে দেখেন সেভাবে না। আপনারা যেভাবে জেগে উঠতে দেখেন, সেভাবে জেগে উঠতে, কনসুলেটেড করতে হয়, তখনই জেগে ওঠে। পুরো ব্যাপারটা সামগ্রিক অবস্থার ওপর, পারিপার্শ্বিকতার ওপর, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে কি না, তার ওপর নির্ভর করে। যে দেশে গণতন্ত্র নেই, সে দেশে জেগে ওঠাটা সহজে হয় না। এ সময়ে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আসাদুল করীম শাহিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য জামাল শরীফ হীরু, সাইফুল ইসলাম পটু ও কাজী রফিক উপস্থিত ছিলেন।