বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

0
586
blank

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরীহ মানুষ হত্যা এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং হত্যা ও আগুন সন্ত্রাসের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। অষ্ট্রিয়ার রাজধানীতে স্থানীয় সময় সোমবার রাতে একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির দেয়া এক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াত কোমলমতি তরুণ ও শিশুদের ভুল পথ ঠেলে দিচ্ছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার যেকোনো মূল্যে এ ধরনের বিপদগামীদের নির্মূলে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে বিএনপি-জামায়াতের নির্মমতা তুলে ধরার জন্য ইউরোপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিজ এলাকায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রাখতে এবং দেশে বিএনপি-জামায়াতের নৃশংসতা ও দুর্নীতি তুলে ধরতে বলেন।

বিএনপি হেফাজতে ইসলামের মতো ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে উসকানী দেয়ার জন্য দায়ী- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্ররোচণায় হেফাজত ২০১৩ সালে ঢাকায় তান্ডব চালায়। জঙ্গিদের ব্যাপারে তার (খালেদা) সহানুভূতিতে তাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা বিরোধিতার নামে মূলতঃ নাটক করছে। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়নে বাধা দেয়া।

বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই এবং এই যুগল দানবের মূলোৎপাটন করতে হবে- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে এই দুই দানবের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম হচ্ছে সহিষ্ণুতা ও শান্তির ধর্ম। এই পবিত্র ধর্ম কখনো মানুষ হত্যা অনুমোদন করে না। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে একটি স্বার্থান্বেসী মহল ধর্মের নামে যুবক শ্রেণীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের ধর্মে কোনো বিশ্বাস নেই। আত্মহত্যা ও গণহত্যাকারীরা কখনো বেহেশতে যেতে পারবে না। অবশ্যই তারা দোজখে যাবে।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ভিয়েনায় পৌঁছান।

গ্রান্ড হোটেলে আওয়ামী লীগ অষ্ট্রিয়া চ্যাপ্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খন্দকার হাসিবুর রহমান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, আইসিটি ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।