বিজিবি’র নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে জঙ্গিবিরোধী যৌথ অভিযান

0
1102
blank

ডেস্ক রিপোর্ট: এক সপ্তাহের ব্যবধানে গুলশান ও শোলাকিয়ায় ভয়াবহ হামলার প্রেক্ষাপটে আবারও জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এ অভিযানে অংশ নেবেন। অভিযানে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে জরুরি দিকনির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার, র‌্যাবের অধিনায়ক, বিজিবিসহ অন্যান্য সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে এই অভিযান শুরু হবে। গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার তদন্তে উঠে আসে উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে মাসের পর মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে জঙ্গিদের। এ ছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও ঝিনাইদহে তাদের আস্তানা ছিল। বিশেষ করে শোলাকিয়ার ঘটনায় হাতেনাতে গ্রেফতার জঙ্গি শরিফুল ইসলাম ওরফে সফিউল জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গিদের আস্তানা ও প্রশিক্ষকদের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। কীভাবে ছোট ছোট গ্রুপে তাদের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তারও অনেক অজানা তথ্য পুলিশ জানতে পেরেছে।

এদিকে গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনার পর সন্দেহভাজন কয়েকজন জঙ্গির দেশত্যাগ ঠেকাতে বিমানবন্দর ও সীমান্তে সতর্ক করা হয়েছে। তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে নিখোঁজ ৯৭ তরুণের একটি তালিকা করেছে পুলিশ। এই তালিকা গতকাল রাতেই পুলিশের নিজ নিজ ইউনিটে পাঠিয়ে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে যেসব ‘নতুন মুখ’ আসা-যাওয়া করছে তাদের ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। ঈদের আগে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে অন্তত ১১ হাজার লোককে আটক করা হয়েছিল। তবে এবারের যৌথ অভিযানের লক্ষ্য শুধু জঙ্গি আটক ও অস্ত্র উদ্ধার।