ঢাকা: বিদেশে বসে বিএনপি সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলন করার মুরোদ নেই, তাই বিদেশে বসে বিএনপি সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র করছে। কোথায়, কারা কারা যাচ্ছে, কী আলাপ হচ্ছে। লন্ডনের খবর, দুবাইয়ের খবর, ব্যাংককের খবর, কী কী শলাপরামর্শ হচ্ছে, কোন কোন পথ খোঁজা হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য- এসব খবর এই তথ্যপ্রবাহের যুগে গোপন থাকে না। সব আমরা জানি। কারা কারা এ ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়ছে সব খবর আমাদের কাছে আছে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার লোকও থাকে না। যদি জামায়াত না থাকত, ভোটকেন্দ্রেও বিএনপির লোক থাকত না। জামায়াতকে নিয়ে তারা এখন পুরনো খেলায় মেতে উঠেছে।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রস্তুত হয়ে যান, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও ভয়ঙ্কর অবস্থা ফিরে আসবে।
‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে প্রধান বিচারপতি জনগণের একটি উপকার করেছেন। বর্তমান অবৈধ সংসদ ভেঙে দেয়া উচিত’ বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাফিজ সাহেবের মামা বাড়ির আবদার। এরপর আবার আরেক কাঠি এগিয়ে গিয়ে বলবে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর আয়োজন করবে। হারানো ময়ূর সিংহাসন ফিরে পাওয়ার বাস্তবায়ন করলে তাদের মামা বাড়ির আবদার ষোলকলায় পূর্ণ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে গর্তে থেকে বের হয়ে লাফালাফি করছে বিএনপি। কয়েকদিন লাফালাফি করে এখন তারা বুঝতে পেরেছে ক্ষমতার রঙিন খোয়াব আবারও কর্পুরের মতো উবে গেছে।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন বিষয়ে কাদের বলেন, যারা ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিনের কেক কেটে আমাদের হৃদয়ে এবং অনুভূতিতে আঘাত করে তাদের সঙ্গে কেন সংলাপ করবো? তারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে বিদ্বেষের চোখে দেখে।
বিএনপি উত্তরাঞ্চলে কোনো ত্রাণ দেয়নি দাবি করে কাদের বলেন, দুর্গত এলাকার কোনো মানুষ বলতে পারে নাই বিএনপি ত্রাণ নিয়ে কোন এলাকায় আছে। ফটোসেশন করে চলে এসে এখন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন ইকবাল মাহমুদ বাবলু।