বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে জাবি প্রেসক্লাবের নিন্দা

0
572
blank
blank

জাবি প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব। এক বিবৃতিতে এই মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়,‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংবাদিকদের সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু নাম সর্বস্ব অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রেস ক্লাব নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে যা সংগঠনটির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছে।

এছাড়া এটিও আমাদের গোচরে এসেছে যে সংবাদে নাম উল্লেখ করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের বক্তব্য না নিয়েই মনগড়া বক্তব্য সংযোজন করে দেওয়া হচ্ছে। যে এছাড়া প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত নির্বাচনী বিধি মেনে ২০১৬-১৭ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের ১১ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি গঠিত হয়েছে তা নিয়েও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে’।

প্রেস ক্লাবের সুনাম ক্ষুণœ করার জন্য বিগত সময়ে বিভিন্ন কারণে প্রেস ক্লাব থেকে বহিস্কৃত কতিপয় সদস্য এবং অসংবাদিক-অসদস্য ব্যক্তিরা হীন ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে না পেরে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিপন্থী ও সুস্থ্য সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলে আমরা মনে করি। এ ধরনের কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে জাবি প্রেস ক্লাব।

এখানে উল্লেখ্য, জুনায়েদ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী নিজেকে প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করছে যা জাবি প্রেস ক্লাবের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। বস্তুত জুনায়েদ আহমেদ জাবি প্রেস ক্লাব থেকে ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর (২৪/১১/২০১৬) পদত্যাগ করেছে এবং প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি তা আমলে নিয়ে তার সদস্যপদও বাতিল করে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, তথ্যের সত্যতা যাচাই না করেই এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অগোচরে তদের নামে মনগড়া বক্তব্য সংযোজন করে কিছু অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে যা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে আমরা মনে করি।

এছাড়া দীপঙ্কর দাস ২০১৬ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়ার পর থেকে প্রেস ক্লাবের সাথে তার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। সে এবছর প্রেস ক্লাবের সদস্য হওয়ার আবেদনও করেনি। অথচ সে এবার বিনা নির্বাচনে ও সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বর্হিভূত ভাবে সভাপতি হওয়ার অনৈতিক দাবি করে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে প্রেস ক্লাব নিয়ে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নিজেকে কার্যকরী সদস্য দাবি করা মো. মূসা গত ১৯ এপ্রিল ২০১৭ (১৯/০৪/২০১৭) জাবি প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সভা চলাকালীন সময়ে গোপনে অনৈতিকভাবে সভার কথপোকথন ফোনে রেকর্ড করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে এবং এর কারণ জানতে চাওয়া হলে সভা চলাকালীন সময়ে সে দু’জন সিনিয়র কার্যকরী সদস্যকে লাঞ্চিত করে যার জন্য তার সদস্য পদ স্থগিত করা হয় এবং তাকে কারণ দর্শাতেও বলা হয়। গত এই অবস্থায় জুনায়েদ আহমেদ, দীপঙ্কর দাস, মো. মূসা কিংবা প্রেস ক্লাবের সদস্য নয় এমন কারো বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে এর দায় প্রেস ক্লাব নেবে না এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।