বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ

0
586
blank
blank

ঢাকা: অবশেষে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, এ নির্দেশনা ও পরিপত্র জারির আগে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে চৌধুরী মুফাদ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন।

সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে আরো কার্যকর ও ওই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইনের সংশোধনের সর্বশেষ পরিস্থিতি মন্ত্রীকে জানান অতিরিক্ত সচিব। এ ছাড়া গত সপ্তাহে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন সংক্রান্ত জারি করা ‘এসআরও’ নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বৈঠকের পর পরই ‘শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ’ সংক্রান্ত পরিপত্রটি জারি করা হয় এবং বিকেলেই তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। পরিপত্রে ৪টি নির্দেশনা রয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা সংশোধন করে গেজেট জারির দিন থেকে, অর্থাৎ গত ২২ অক্টোবর থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। ২২ অক্টোবরের আগে গৃহীত নিয়োগ কার্যক্রম (পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া গ্রহণ) আগের নিয়মেই সম্পন্ন করা যাবে। কিন্তু কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি ২২ অক্টোবর বা এর পরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করে থাকে, তাহলে তা অবৈধ হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে হবে এনটিআরসির মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে। শিক্ষক নিয়োগ কমিশন না হলেও এনটিআরসির মাধ্যমেই কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ে মেধাতালিকা করা হবে। সেখান থেকেই শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এ জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। এ জন্য কিছু পদ্ধতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। এ কারণেই নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন পদ্ধতি নিয়ে শিগগিরই আরেকটি পরিপত্র জারি করা হবে।

তবে যারা ২২ অক্টোবরের আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ইতোমধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন, এমপিওভুক্তির (বেতন ভাতার সরকারি অংশ পাওয়া) ক্ষেত্রে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তারা আগের নিয়মেই এমপিওভুক্ত হবেন। নতুন এই পদ্ধতি চালু হলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা কমিটি বা এসএমসি ও গভর্নিং কমিটির একচ্ছত্র ক্ষমতা আর থাকবে না। তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচিতদের শুধুমাত্র নিয়োগপত্র দেবেন। নতুন নিয়মে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিবছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেলার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক চাহিদার তালিকা সংগ্রহ করবেন। এই তালিকার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়া হবে। ওই পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।