বড়ো ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে জঙ্গিরা

0
541
blank
ফাইল ছবি
blank

ঢাকা: বড়ো ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে জঙ্গিরা। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ছয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানা গেছে। র‌্যাবের অভিযানে রাজধানীর উত্তরা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে তারা গ্রেফতার হন। হামলা কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সে পরিকল্পনা করতেই উত্তরা এলাকায় তারা মিলিত হয়েছিল বলে জানা গেছে।

এদিকে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো। তাদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), আনসার আল ইসলাম বা আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) ও তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী ও আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে তা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তত্পর।

সাম্প্রতিককালে জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, রোহিঙ্গারা জঙ্গিদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তাদের পেছনে সামান্য টাকা খরচ করলেই তাদেরকে ব্যবহার করা যায়। রোহিঙ্গাদের দলে ভেড়াতে জঙ্গি সংগঠনগুলো ব্যাপক তত্পরতা চালাচ্ছে।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের চাহিদা কম। সহজে তাদেরকে বশে আনা যায়। তাই জঙ্গিরা যাতে কোনো অবস্থাতেই রোহিঙ্গাদের কাছে যেতে না পারে বা সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।

র‌্যাব-৪ গত শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত উত্তরা, গাজীপুর ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অভিযান চালিয়ে ঐ ছয় জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন : নীলফামারীর শফিকুল ইসলাম ওরফে সাগর ওরফে সালমান মুক্তাদির (২১), পিরোজপুরের ইলিয়াস হাওলাদার ওরফে খাত্তাব (৩২), সাতক্ষীরার ইকরামুল ইসলাম ওরফে আমীর হামজা (২১), আমীর হোসাইন ওরফে তাওহীদি জনতার আর্তনাদ (২৬), শিপন মীর অরফে আব্দুর রব (৩৩) এবং চাঁদপুরের ওয়ালিউল্লাহ ওরফে আব্দুর রহমান (২৫)। গতকাল র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ হতে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই, লিফলেটসহ উগ্রবাদী ডিজিটাল কনটেন্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জঙ্গি শফিকুল ইসলামের সাংগঠনিক নাম সাগর সালমান মোক্তাদির। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তিনি বর্তমানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পঞ্চম বর্ষের ছাত্র। ইলিয়াস হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে অ্যাপসের মাধ্যমে আলাপকালে আনসার আল ইসলাম সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন এবং তাদের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দলে যোগদান করেন।

গ্রেফতার ইলিয়াস হাওলাদারের সাংগঠনিক নাম খাত্তাব। অনলাইনে তিনি খাত্তাব ছদ্মনাম ব্যবহার করে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি পেশায় চালক। ছাত্রজীবনে তিনি হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গ্রেফতার ইকরামুল ইসলামের সাংগঠনিক নাম মুত্তাকিন ওরফে আমীর হামজা ওরফে সালাউদ্দিন আইয়ুবী।