ভারতের ঋণ আগেই শোধ করে এখন টানছি সুদ: ডা. জাফরুল্লাহ

0
480
blank
blank

ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, একটি দেশের সঙ্গে ট্রানজিট হতে পারে। কিন্তু সেটার জন্য সে দেশের রাস্তা ঘাটের যে ক্ষতি হবে তার ক্ষতি পূরণের বিনিময়ে। কিন্তু বর্তমান সরকার ভারতকে যে ট্রানজিট দিয়েছে তা নামমাত্র ক্ষতিপূরণে।তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের কাছে আমাদের যে ঋণ ছিল তা আমরা আগেই শোধ করেছি, এখন যেটা টানছি সেটা সুদ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশকে মরুভূমি বানানোর ভারতীয় পানি আগ্রাসী নীতি রুখে দাঁড়ান’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ভারত সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ার পরও আমাদের ওপর থেকে সুদ আদায় করে নিচ্ছে, যেমনিভাবে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর থেকে পশ্চিম পাকিস্তান জোরজুলুম করে আদায় করেছিল। সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এসব মন্তব্য এমন সময় এলো যখন আজই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ ট্রানজিট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি দেশের সুশীল সমাজের সমালোচনা করে বলেন, আগে দেখতাম, সরকার দেশ বিরোধী কোনো চুক্তি করলে রেহমান সোহবাহানের মত সুশীল সমাজের লোকেরা সরকারের সমালোচনা করতো কিন্তু এখন দেখছি তাদের মুখ বন্ধ। তাহলে কি বুঝবো, ভারতের মুদ্রা দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ রাখা হয়েছে।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বতর্মান সরকার অগণতান্ত্রিক ও অনির্বাচিত সরকার, আর এই অনির্বাচিত সরকারকে ভারতই টিকায়ে রেখেছে তাদের নিজেদের স্বার্থে। তিনি ফারাক্কা চুক্তিসহ অন্যান্য চুক্তি বাস্তবায়নের সময় জনগণের স্বর্থের কথা বিবেচনায় নেয়ার জন্য সরকার প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের কমিনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুল রশিদ ও জাহিদুল হক মিলু প্রমুখ।