রাজশাহী: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান মেনে আগামী বছরের (২০১৮) ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। তবে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপিকে ছোট করে দেখা যাবে না। কারণ আগামী নির্বাচনে তারাই হবে আওয়ামীলীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের উন্নয়নে কোনো ঘাটতি নেই, ঘাটতি থাকলে নেতাদের আচরণে আছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আচরণটা শুদ্ধ করে নিতে হবে। নির্বাচনের বেশি দেরি নেই। এখন ক্ষমতায় আছেন, কেউ কিছু বলছে না। তবে আচরণ খারাপ হলে আগামী নির্বাচনে মানুষ ব্যালটে তার শাস্তি দিয়ে দিবে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেছেন, ‘আপনারা কেউ পকেট কমিটি করবেন না। ত্যাগী নেতাদের দলে স্থান দেন। কর্মীবান্ধব নেতা হোন। কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। তারা কি চায় সেই দিকে খেয়াল করেন। কর্মীদের চোখের ভাষা, মনের ভাষা আপনাদের বুঝতে হবে। যদি না বোঝেন তাহলে রাজনীতি করার দরকার নেই। যেই নেতারা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দল ভারি করেছেন, আমি বলতে চাই, দ্রুত এগুলো সরান। আওয়ামী লীগে গডফাদারদের দরকার নাই। প্রয়োজন রয়েছে জনপ্রিয় নেতার, সৎ ও নির্ভিক কর্মীর।’
তিনি আরো বলেছেন, মঞ্চের সামনে বসে থাকা সাধারণ কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা মঞ্চে বসে থাকা নেতাদের নিয়ে। আমরা কর্মীদের ব্যবহার করি। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় পাহারাদার বানাই। কর্মীদের বলি-কারও স্বার্থ রক্ষার পাহারাদার হবেন না। তাহলে ভালো নেতা পাবেন না। অপকর্ম করলে দলে ভালো লোক আসবে না। আর খারাপ লোক আমাদের দরকার নাই।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির হুমকি-ধামকি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিএনপি এখন নিজেরাই নিজেদের শত্রু। তাদের নেতায় নেতায় মারামারি, হানাহানি, কোন্দল চলছে। তাই বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আন্দোলন করার কোনো ক্ষমতা বিএনপির নেই। বিএনপি এখন নালিশবাদী দলে পরিণত হয়েছে। কোনো অর্জন নেই, ইতিহাস নেই, আন্দোলন নেই, প্রত্যেক দিন কেবল নালিশ আর নালিশ! তাই বিএনপিকে আমি বাংলাদেশ নালিশ পার্টি বলি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মী সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি। পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সমাবেশে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.