মক্কার পথে প্রাণের আকুতি!

0
718
blank
blank

গোলাম মাওলা রনি: বিশ্বের অন্যসব ধর্মপ্রাণ মুসলিম নরনারীর মতো আমি নিজেও পবিত্র মক্কা ও মদিনা নিয়ে এক ধরনের নস্টালজিয়ায় ভুগি। বেশ কয়েকবার হজ এবং ওমরা পালনের পরও আমার ইচ্ছে জাগে বারবার সেখানে যাওয়ার জন্য। কখনো বা আমার সেই ইচ্ছে রীতিমতো অস্থিরতায় পরিণত হয়। এক মহাজাগতিক চৌম্বক শক্তি হৃদয়-মন-মস্তিষ্ককে প্রবলভাবে পশ্চিমের পানে টানতে থাকে এবং পবিত্র কাবার চার পাশে তাওয়াফ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে তোলে। মাতৃভূমির স্বাভাবিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, পারিবারিক আবেশ, বিত্তবৈভব ও সামাজিক মর্যাদা পেছনে ফেলে কেন ধুলা ধূসরিত ঊষর মরুভূমির উত্তপ্ত শিলাময় পাহাড়ি উপত্যকার মুসাফির হওয়ার মধ্যে শান্তি পাই, তা নিয়ে মনকে বহুবার প্রশ্ন করেছি। কেন অতীতকাল থেকে মানুষ মক্কার পানে ছুটছে এবং কাবাগৃহকে কেন্দ্র করে তাওয়াফের নামে ক্রমাগত ঘুরছে ইত্যাদি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে গিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মহান আল্লাহর কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম লক্ষ করেছি, যার মধ্যে আপনি হয়তো অনেক প্রশ্নের জবাব পেলেও পেতে পারেন।

কাবা শরিফ তাওয়াফ করতে গিয়ে আপনার মনে কখনো কি এই প্রশ্নের উদয় হয়েছে, কেন সবাই আল্লাহর ঘরকে হাতের বাম দিকে রেখে চক্রাকারে ঘুরছেন! অথবা মানুষের এই ঘূর্ণন কেন বাম দিকের পরিবর্তে ডান দিক থেকে হলো না? কিংবা কাবা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমে ফেরেশতাকুল, তারপর জিন জাতি এবং সর্বশেষে মানবমণ্ডলী যেভাবে তাওয়াফ করছেন; তার মধ্যে আল্লাহর বান্দাদের জন্য কি বিশেষ কোনো শিক্ষণীয় ইঙ্গিত রয়েছে! এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে প্রথমেই আপনার চার পাশের অতিপরিচিত কিছু দৃশ্য পর্যালোচনা করুন। আপনি যদি নদী, হ্রদ, জলাভূমি কিংবা সাগর-মহাসাগরের প্রবল স্রোতে সৃষ্ট ঘূর্ণনের দিকে লক্ষ করেন; তবে দেখবেন সেগুলোও সেই অনাদিকাল বাম দিক থেকে ঘুরছে। এরপর বাতাসের কর্মকাণ্ড লক্ষ করুন। কোনো কোনো স্থানে গ্রীষ্মকালে সূর্যতাপে বাতাস হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ঘূর্ণনের সৃষ্টি করে কিংবা মরুভূমিতে একই রূপ ঘূর্ণনের মাধ্যমে মরুঝড় শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো প্রভৃতি ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও বাতাসের ঘূর্ণনের মাধ্যমে শুরু হয়ে যায়। এবার আপনি নিশ্চয়ই স্মরণ করতে পারছেন, বাতাসের তাবৎ ঘূর্ণনও বাম দিক থেকে শুরু হয়।

জল, স্থল ও বায়ুমণ্ডল বাদ দিয়ে চলুন, এবার আমরা মহাকাশ থেকে ঘুরে আসি। বিজ্ঞান এযাবৎকালে সর্বোচ্চ চেষ্টা ও তদবির করে প্রথম আসমান বা নিকটতম আকাশের অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পেরেছে। আকাশ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের দু’টি ভাষ্য রয়েছে। প্রথমত, আল্লাহ নিকটতম আসমানকে নক্ষত্রমণ্ডলী দ্বারা সুসজ্জিত করেছেন। দ্বিতীয়ত, আসমানের সাতটি স্তর রয়েছে এবং এক স্তর থেকে অন্য স্তরে প্রবেশের জন্য রয়েছে বিশালকায় দরজা। এসব দরজা সব সময় বন্ধ থাকে এবং সেখানে দ্বাররক্ষী হিসেবে অগণিত ফেরেশতা নিয়োজিত রয়েছেন। আল্লাহর হুকুমে হুজুরে পাক সা: যখন মেরাজে গিয়েছিলেন, তখন প্রতিটি আসমানের স্তর ভেদ করে লা মাকামে পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছিল। মানুষের চিন্তা-চেতনা, বিজ্ঞান ও গবেষণা যেহেতু প্রথম আসমানই জয় করতে পারেনি, তাই পরবর্তী আসমান সম্পর্কে কুরআনের ব্যাখ্যা নিয়ে আজ অবধি কেউ আলোচনা-সমালোচনা বা ভিন্নমতের দুঃসাহস দেখাতে পারেননি। এ অবস্থায় আমরা আজকের নিবন্ধের বিষয়বস্তু আলোচনার জন্য প্রথম আসমানের সেসব ঘটনা বলব, যা ইতোমধ্যেই বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে।

প্রথম আসমানের সব গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্রমণ্ডলী, ছায়াপথ প্রভৃতি সব কিছুই অনাদিকাল থেকে নির্দিষ্ট গতিতে এবং নির্দিষ্ট নিয়মে অনবরত ঘুরেই চলেছে। তাদের এই ঘূর্ণনের দুটো স্বাভাবিক নিয়ম এবং দুটো সমীকরণ রয়েছে। নিয়ম হলো- তারা বাম দিক থেকে ঘুরছে এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ঘুরছে। কোনো অবস্থায়ই তারা তাদের জন্য নির্ধারিত গতি ও দূরত্বের সীমা অতিক্রম করছে না। তাদের এই কর্মের ফলে যে দুটো চিরন্তন সমীকরণ সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রথমটি হলো- তাদের মধ্যে নির্দিষ্ট নিয়মে ঘূর্ণনের ফলে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক বা আকর্ষণ সৃষ্টি হচ্ছে; যাকে বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষ বলে অভিহিত করছেন। দ্বিতীয়ত, মহাকর্ষের প্রভাবে এরা এমন ‘আত্মীয়তার বন্ধনে’ আবদ্ধ হয়ে পড়ে, যার ফলে এদের মধ্যে কখনো সংঘর্ষ হয় না।

আলোচনার এই পর্যায়ে আমরা এখন আকাশ, বাতাস, পানি বাদ দিয়ে বস্তু জগতের চিরচেনা একটি বিষয়ের মধ্যে প্রাকৃতিক ঘূর্ণনের কার্যকারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। আমরা প্রায় সবাই জানি, বস্তু বা পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশের নাম অণু। প্রতিটি অণুর মধ্যেই একটি নিউক্লিয়াস রয়েছে এবং এই নিউক্লিয়াসের মধ্যে মহাকাশের সৌরজগতের কক্ষপথের মতো একাধিক বৃত্ত রয়েছে। প্রতিটি অণুর মধ্যে আবার তিন জাতের পরমাণু রয়েছে। এগুলোর নাম ইলেকট্রন, নিউট্রন, প্রোটন; যাকে অনেকে অণুর ভগ্নাংশও বলে থাকেন। পরমাণুগুলোর মধ্যে ঋণাত্মক চরিত্রবিশিষ্ট ইলেকট্রন সব সময় নিউক্লিয়াসের প্রথম কক্ষপথ অনুসরণ করে নির্দিষ্ট গতিতে বাম দিক থেকে অনবরত ঘুরতে থাকে। এরপর নিরপেক্ষ পরমাণু নিউট্রন দ্বিতীয় কক্ষপথ ধরে ইলেকট্রনের সঙ্গে সমান দূরত্ব রেখে একই সমান্তরালে ছায়ার মতো তার পাশাপাশি অবস্থান করে বাম দিক থেকে এমন গতিতে ঘুরতে থাকে, যাতে কেউ কারো আগপিছ কিংবা কাছে বা দূরে ভিড়তে না পারে। এবার নিউক্লিয়াসের ধণাত্মক পরমাণু প্রোটন সম্পর্কে কিছু বলা যাক।

প্রোটন পরমাণুগুলো তৃতীয় স্তরের কক্ষপথ অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের হৃদয়ের কাছাকাছি থেকে বাম দিক থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে এবং নির্দিষ্ট গতিতে অনবরত ঘুরছে। এই পরমাণুগুলো নিরপেক্ষ পরমাণু বা নিউট্রন এবং নেগেটিভ পরমাণু বা ইলেকট্রন থেকে সমান্তরাল দূরত্ব বজায় রাখছে এবং সমান্তরাল গতিতে একই অভিমুখে ঘুরছে। ফলে নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে কোনোকালেই সংঘর্ষ ঘটে না। পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক অণুর মধ্যকার নিউক্লিয়াস এবং সেখানে তিনটি বৃত্তকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক, নিরপেক্ষ ও ইতিবাচক পরমাণুর পরিভ্রমণের মধ্যে মানবজাতির জন্য বিরাট এক শিক্ষা রয়েছে। একইভাবে নিউক্লিয়াসের প্রথম বৃত্তে নেতিবাচক পরমাণুর অবস্থান, দ্বিতীয় স্তরের বৃত্তে নিরপেক্ষ পরমাণুর অবস্থান এবং তৃতীয় স্তরে ইতিবাচক পরমাণুর সঙ্গে মানবজীবনের কি অন্তমিল রয়েছে তা নিয়েও চিন্তাশীলেরা বহু অনুসিদ্ধান্ত দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন।

আমাদের জীবনের ইতিবাচক দিক এবং নেতিবাচক চিন্তাচেতনা ও ধ্যানধারণার মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব সৃষ্টিকারী প্রজ্ঞা নামক মানবীয় উপকরণটি যে কতটা আবশ্যক, তা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের দেখিয়ে দিয়েছেন পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ অণুর মধ্যকার নিউক্লিয়াসের গঠনপ্রণালীর মাধ্যমে। নিউক্লিয়াসের ওপরের স্তরে যেমন নেতিবাচক পরমাণুগুলো ঘুরতে থাকে, তেমনি আমাদের সমাজ, সংসার ও রাষ্ট্রের সর্বত্র নেতিবাচক বিষয়গুলো সর্বাগ্রে দৃশ্যমান কিংবা সহজলভ্য হিসেবে আমাদের আকর্ষণ করে। অন্য দিকে, নিউক্লিয়াসের হৃদয়ের কাছাকাছি যেভাবে প্রোটন বা ইতিবাচক পরমাণুগুলো ঘুরতে থাকে তেমনি মানুষের মন ও মস্তিষ্ক যদি যুগপৎভাবে সমর্থন না করে, তবে কোনো ইতিবাচক বিষয় মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে না।

আজকের নিবন্ধের শুরুতে আমরা কতগুলো মৌলিক প্রশ্নের অবতারণা করেছিলাম এবং সেগুলোর উত্তর খোঁজার জন্য উল্লিখিত উদাহরণগুলো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম। এবার উদাহরণগুলোর আলোকে আমরা ইতঃপূর্বে উত্থাপিত প্রশ্ন, সূচনাপর্বের আবেগ-অনুভূতি এবং নিবন্ধের শিরোনামের সঙ্গে অন্তমিল ঘটিয়ে একটি সহজ সমীকরণ রচনার চেষ্টা করব। প্রথমত, কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে প্রাচীনকালে শুরু হওয়া তাওয়াফ, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জল, স্থল ও মহাকাশের বিভিন্ন বস্তুর ঘূর্ণনের গতির একই ধরন ও প্রকৃতি অর্থাৎ বাম দিক থেকে ঘোরার মধ্যে আল্লাহর একক সত্তা ও অস্তিত্বের প্রমাণ রয়েছে। আল্লাহ তার জমিনে স্থাপিত পবিত্র কাবাকে যখন এবং যেভাবে তাওয়াফ করার নির্দেশ দিয়েছেন তা যে অলৌকিক, অপার্থিব ও ঐশী নির্দেশ ছিল, তার জ্বলন্ত প্রমাণ তিনি তার অপরাপর সৃষ্টির মধ্যে গোপনে ও প্রকাশ্যে নিহিত করে রেখেছেন; যা কালের বিবর্তনে বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে এবং অনাগত দিনে আরো অনেক কিছু আবিষ্কৃত হবে।

দ্বিতীয় দফায় আমরা এই প্রশ্ন রাখতে পারি, কেন সব কিছু বাম দিক থেকে ঘুরছে, অথবা কেন ডান দিক থেকে ঘুরছে না? যদি প্রশ্নটির সহজ সরল জবাব জানতে চান, তবে ডান-বাম নিয়ে পবিত্র কুরআনের নির্দেশনাগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। ইসলামে ডান বলতে সফলতা, প্রবৃদ্ধি, ইতিবাচকতা ইত্যাদি বোঝায়। অন্য দিকে, বাম বলতে ধ্বংস বা ক্ষয়, নেতিবাচকতা ও ব্যর্থতা বোঝায়। বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে বামকেন্দ্রিক ঘূর্ণন বা কাবা শরিফের বামকেন্দ্রিক তাওয়াফের মধ্যে আল্লাহ হয়তো এই পার্থিব জীবনের নশ্বরতা, নির্দিষ্ট সময়ের পরে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যু এবং বস্তুর ধ্বংসের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। কাবা শরিফ তাওয়াফ করতে করতে আমরা যদি সূরা আল আসরের আলোকে মহাকালের চলমান সময়, যা প্রতিমুহূর্তে বর্তমানকে অতীতে নিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যৎকে আমাদের সামনে এনে আমাদের চূড়ান্তভাবে মৃত্যু পথগামী হিসেবে কবরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে; সেই মহাসত্য অনুধাবন করিÑ তবেই বামকেন্দ্রিক তাওয়াফের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হৃদয়ঙ্গম করতে পারব। আমাদের জীবন হলো চূড়ান্ত ধ্বংসের একটি চলমান সিঁড়ি, যা সবার অলক্ষ্যে নির্দিষ্ট গতিতে অবিরতভাবে আমাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির বামকেন্দ্রিক ঘূর্ণন এ কথারই ইঙ্গিত বহন করে যে, এই মহাবিশ্বের সব কিছু হয় মৃত্যু, নয়তো ধ্বংস অথবা কিয়ামতের শেষ পরিণতির পানে ছুটছে, যা থেকে নিস্তারের কোনো উপায় নেই এবং পালানোর কোনো জায়গাই নেই।

আমরা আজকের আলোচনার একদম শেষপর্যায়ে চলে এসেছি। এবার তৃতীয় দফার প্রশ্নটির জবাব খুঁজে উপসংহারে চলে যাচ্ছি। আপনি যদি তাওয়াফের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য এবং কেন আপনার আমার মতো মানুষ কাবার প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ অনুভব করি তা জানতে চান, তাহলে উল্লিখিত উদাহরণগুলোর আলোকে বলতে হবে, তাওয়াফের মাধ্যমে তাওয়াফকারীদের মধ্যে ত্রিমুখী মহাকর্ষণের সৃষ্টি হয়ে যায় প্রাকৃতিকভাবে, ঠিক যেমনটি হয়ে থাকে মহাকালের নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যে এবং অণুর নিউক্লিয়াসের পরমাণুগুলোর মধ্যে। তাওয়াফকারীদের পরস্পরের সঙ্গে মহব্বত ও ভ্রাতৃত্বের আকর্ষণ সৃষ্টির পাশাপাশি কাবার সঙ্গেও একটি আকর্ষণের সম্পর্ক পয়দা হয়ে যায়, যা চূড়ান্তরূপে কাবার মালিকের সঙ্গে মহাকর্ষক সম্পর্ক স্থাপন করে পূর্ণতা লাভ করে। তাওয়াফকারীদের ইলেকট্রন-প্রোটন ও নিউট্রনগুলো যদি প্রকৃতির নিয়মে একই সমান্তরালে সমান্তরাল গতিতে নিয়ম মেনে চলে, তাহলে বিশ্বচরাচরে কারো সঙ্গেই তাদের সঙ্ঘাত সৃষ্টি হয় না। তারা তাবৎ সৃষ্টিকুলের প্রতি ঠিক তেমনি আকর্ষণ বোধ করেন, যেমন আকর্ষণ রয়েছে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে। অন্য দিকে, কাবা শরীফের সঙ্গে তাদের এমন এক আকর্ষণ সৃষ্টি হয়ে যায়, যেমনটি রয়েছে পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে।