মানবতার কল্যাণে এগিয়ে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজী ডিপার্টমেন্টের সেকেন্ড সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা

0
1128
blank
blank

সিলেট: বিয়ানীবাজার কিংবা সিলেটের যেকোন স্হান থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ। ভাই,আমার একজন নিকটাত্বীয় রোগী সিলেট ওমেক হাসপাতালে রয়েছেন। তার জন্য A+ রক্ত প্রয়োজন,আপনার গ্রুপ কি ? ভাই,আমার রক্তের গ্রুপ 0+ ,তবে একটু অপেক্ষা করেন-পাওয়া যায় কিনা আপনাকে জানাচ্ছি-জবাব দীপুর ।
৫ মিনিট পরেই দীপুর ফোন-ভাই আমাদের একজন ভাইয়ের রক্ত গ্রুপ মিলেছে, তিনি দেবেন । কখন,কোথায় প্রয়োজন বলে দেন । এভাবে যতদিন পরিচিত যারাই রক্ত চেয়েছেন-দীপু ও সুমন কাউকে হতাশ করে দেননি ।

কিভাবে সিলেটের একটি বেসরকারী ইউনিভার্সিটি’র ছাত্র আলী হোসেন দীপু ও সাইফুর সুমন
সবাইকে রক্ত দেন তা জানার কৌতুহল জাগে উপকৃত হওয়া সকলের । সুমনের দেয়া বর্ণনায়ই জানা গেল ‘মানবকল্যাণ মূলক ‘ কাজের সেই অনুকরণীয় কাহিনী । দীপুর কাছ থেকে জানা যায়, সিলেটের ‘নর্থ ইষ্ট ইউনিভার্সিটি’র ইংরেজী ডিপার্টমেন্ট ২য় সেমিষ্টারের সকল ছাত্র-ছাত্রী আত্মামানবতার এ কাজে যুক্ত । তারা সবাই পড়ালেখার পাশাপাশি কিভাবে মানুষের কল্যাণ করা যায় সে চিন্তা থেকেই ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান ও রক্ত সংগ্রহ করে দেয়া’র মহৎ পরিকল্পনা নিয়েছেন ।
এ সেমিষ্টারের যেকোন শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করে রোগির জন্য রক্ত চাইলে তারা সবাই প্রাণপন চেষ্টা করেন ঐ রোগীকে রক্ত দেয়ার ।এর মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, ফরহাদ হোসেন, শিশির রন্জন দাস,ফখরুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন কিরন, মুহাইমিন ইসলাম, কাশরাফ চৌধুরী, রেজা আহমেদ,
মাহমুদুর রহমান, আব্দুলাহ ফারুক, মাজেদ আহমদ, ফৌজিয়া রিতু, চৌধুরী ইসরাত জাহান, তাহমিনা মিতু, মাইশা রহমান চৌধুরী, নাবিলা নাসরিন,সুমাইয়া রহমান, ফাহমিদা আক্তার মাহফুজা তাদের মধ্যে অন্যতম।।
নিজেদের কারো গ্রুপের সাথে রোগীর রক্তের গ্রুপের মিল হলে নির্দ্বিধায় রক্ত দেয় এই সব শিক্ষার্থীরা । যদি তাদের কারো সাথে রোগীর রক্তের গ্রুপের মিল না পাওয়া যায়,তাহলে বসে থাকেন না তারা । একই শিক্ষাপ্রতিষ্টানের অন্যান্য শিক্ষার্থী, আত্বীয়-স্বজন ও পরিচিত সবার কাছে রোগীর রক্তের গ্রুপের খোঁজে বের হন । যেকোন ভাবেই রক্ত সংগ্রহ করে দেয়ার চেষ্টা করেন এসব শিক্ষার্থী । দীপু ও সুমন আমাদের জানান, ,মানবতার কল্যাণের জন্যই আমাদের পড়ালেখা । আর এ লক্ষে রক্তদান এখন আমাদের নেশায় পরিণত হয়েছে ।