মানবিক কারণে সীমান্ত খোলা থাকবে: কাদের

0
416
blank

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মানবিক কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার বনানীতে ফিটনেস বিহীন পরিবহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র অভিযান দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা জানান।

রোহিঙ্গা ইস্যূতে সরকারের কূটনীতি ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যর্থ হতো তাহলে মিয়ানমারের সুর নরম হলো কেন? মিয়ানমারের মন্ত্রী সফরে আসায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের আরেকটু ধৈর্য্য ধরে ঠাণ্ডা মাথায় অপেক্ষা করতে হবে। উস্কানির ফাঁদে পা দিলে ক্ষতি হবে গোটা দেশের, এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশ চীন ও ভারতে কাছে অনুরোধ করবো। এ মানববোঝা যা আমাদের অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে, পর্যটনে প্রভাব পড়ছে। সেইসব চিন্তা করে বন্ধু দেশ ও বিশ্বজনমতের কাছে আমাদের অনুরোধ যাতে দ্রুতই আমাদের উপর যে বাড়তি জনসংখ্যার চাপ চেপেছে তা তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে। এ ইস্যূতে বিশ্বসভাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোর বড় ভূমিকা রাখা দরকার। কারণ আমাদের এখানে স্থিতি নষ্ট হলে, প্রতিবেশির ঘরে আগুন লাগলে এ আগুনের আঁচ অন্য প্রতিবেশিও পাবে।

আরো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসতে পারে জাতিসংঘের এমন পযবেক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন ছিটেফোঁটা লোক আসছে। কিভাবে জনস্রোত আসছিলো সেটা আমি দেখেছি। তবে এখন আর সেই জনস্রোত নেই। আসতে পারে সেই আশঙ্কা জাতিসংঘ করছে। কাজেই জাতিসংঘেরই এখানে কঠোর অবস্থান নেয়া উচিত। যাতে করে নতুন করে ইনফ্লাক্স না হতে পারে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের হেলিকপ্টার আমাদের সীমান্ত লঙ্ঘন করেছিলো। জাতিসংঘের চাপ ও আমাদের কূটনৈতিক চাপে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না।

বর্তমান রোহিঙ্গা চাপ বাংলাদেশের উপর বাড়তি জনসংখ্যা চাপানোর ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আমি জানি না। ষড়যন্ত্রতো একটা আছেই। এখন মিয়ানমার তাদের কে নাগরিক বলেই স্বীকার করে না। এ মূহুর্তে কেন হলো সেটা আরো ভেবে দেখতে হবে। চক্রান্ততো একটা আছে কিন্তু এর স্বরূপ এখন বলা যাচ্ছে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে কতটুকু আন্তরিক সেটা আজকে দেখতে হবে। বাংলাদেশ যে সংকটে পড়ছে তা নিয়ে তারা কতটুকু কনসার্ণ। দেশের এ গভীর সংকটের সময় তাদের নেত্রী দেশের আসার তারিখ দিয়েও আসছেন না। তাদের এক নম্বর নেতারতো কোনো উদ্বেগের বিষয় চোখে পড়ছে না। আর দেশে যারা আছেন তারাও সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করছেন। চেয়ারপর্সনের অনুপস্থিতিতে হতাশ কর্মীদের চাঙ্গা করতে আবোল তাবোল বকছে।