বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আপনারা যারা মামলা মোকাদ্দমায় ভয় পান তারা দয়া করে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যারা ভয় পান না আগামী দিনে তারাই দায়িত্ব পালন করবেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এক অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলাধীন দোহার ও নবাবগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে অনশন কর্মসূচিতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক।

গয়েশ্বর বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরে নির্বাচন নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। কেননা এখন বিএনপি নয়, গোটা দেশের মানুষের ওপর দুঃশাসন চলছে। এটা থেকে রক্ষা পেতে হলে বিএনপিকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই আমি বলবো, ভয় পেলে দায়িত্ব ছাড়ুন, নির্ভীকরা দায়িত্ব নেবেন।’

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আহ্বানও জানান গয়েশ্বর।

তিনি বলেন, মহাসচিব ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলবো যারা মামলা মোকাদ্দমা উপেক্ষা করে রাজপথে থেকে গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করবে তাদের দায়িত্ব দেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে খুশির বিষয় হচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসেছেন। আমরা সবাই জানি খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সবই মিথ্যা।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘যেসব অভিযোগে দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এমন কোনও ঘটনায়ই ঘটেনি। টাকা যা ছিল তা তিনগুণ হয়ে ব্যাংকে আছে। তারপরও দেশনেত্রীকে ওই মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে।

এরপর অনশনকারীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান মির্জা ফখরুল।

অনশনে সংহতি প্রকাশ করে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটি সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।