মিথ্যা-সাজানো সাক্ষী দিয়ে নিজামীকে সাজা দেয়া হয়েছে: খন্দকার মাহবুব

0
489
blank

ঢাকা: মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষী দিয়ে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে সাজা দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আজ নিজামীর রিভিউ আবেদনের রায় ঘোষণার পর দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

খন্দকার মাহবুব বলেন, এটা সর্বোচ্চ আদালতের রায়। এটা নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। তবে তৈরি সাক্ষীর ভিত্তিতে নিজামীকে সাজা দেয়া হয়েছে। সাক্ষীদের সেইফ হোমে রেখে শিখিয়ে পড়িয়ে তাদের সাক্ষীর ভিত্তিতে এ সাজা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের আইনটি করা হয়েছিল ১৯৫ জন পাকিস্তানির বিচারের জন্য। আমাদের দেশের নাগরিকদের জন্য এটি করা হয়নি। দেশের নাগরিকদের জন্য করা হয়েছিল কোলাবরেটর আইন। যেহেতু ১৯৭৩ সালের আইনে পাকিস্তানিদের বিচারের কথা ছিল, তাই সেখানে কোন মৌলিক অধিকার রাখা হয়নি। এখন উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেই আইন সংশোধন করে এ দেশের নাগরিকদের বিচার করা হচ্ছে।

খন্দকার মাহবুব বলেন, এ আইনের অধীনে মিথ্যা সাক্ষী যেভাবে সাজিয়ে আনা হচ্ছে, সেখানে বিচারপতিরাও অসহায়। মাওলানা নিজামী ও অন্যান্য জামায়াত নেতাদের শাস্তি দেয়ার বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষী দিয়ে তাদের সাজা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রচলিত আইনে বিচার হলে নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোন অভিযোগই প্রমানিত হতো না। এই রায় সঠিক না বেঠিক ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তার বিচার করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

খন্দকার মাহবুব বলেন, মাওলানা নিজামী একাত্তর সালে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছেন কিন্তু হত্যা, গুম, অপহরণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। সম্পূর্ণ সাজানো সাক্ষী দিয়ে এ সব মিথ্যা অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে।

মাওলানা নিজামীর ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে খন্দকার মাহবুব বলেন, এটা আমাদের বিষয় নয়, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি-না।