মির্জা ফখরুল-হাফিজ উদ্দীনের নেতৃত্বে বিএনপি

0
567
blank
blank

নিউজ ডেস্ক: বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে সমঝোতা না হলে ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপি চায় সরকার। বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম জিয়ার আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় সরকার পক্ষ থেকে এরকম সংকেত দেওয়া হয়েছে। সরকার পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, ‘মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে আরেকটা বিএনপি সরকার যেকোনো সময় গঠন করতে পারে। কিন্তু সরকার সেটা চায়না।’ আপিল বিভাগ কর্তৃক বেগম জিয়ার জামিন স্থগিত হবার পর দ্রুত সমঝোতার জন্য সরকার বিএনপিকে আলটিমেটাম দিয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যেই বিএনপি বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়া এবং বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলে দলটির ভাঙন প্রক্রিয়া শুরু হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেবে।

জানা গেছে, বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং নজরুল ইসলাম খান ছাড়া সবাই মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন দেবেন। কার্যনির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে বরকতউল্লাহ বুলু, মীর নাসির, এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং গিয়াস কাদের চৌধুরী ছাড়া বাদ বাকিরা বিএনপির মহাসচিবের প্রতি আস্থাশীল। যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন এবং হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ছাড়া সবাই মির্জা ফখরুলের পক্ষে। একটি সূত্র বলছে, কার্যনির্বাহী কমিটির ৮০ ভাগ সদস্যই মির্জা ফখরুলের পক্ষে। চলতি মাসের মধ্যে যদি বেগম জিয়ার বিদেশ যাত্রার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্যারোল আবেদন না করা হয় তাহলে আলাদা বিএনপি গঠন ত্বরান্বিত হবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীরা এটাকে আলাদা বিএনপি বলতে রাজী নন। বরং তারা মনে করেন এটাই আসল বিএনপি। এখানে শুধু বেগম জিয়া ও তারেক জিয়াকে বাদ দেওয়া হবে। অবশ্য এই দুজনকে দল থেকে বাদ দিলে কয়েকজন দলে বিদ্রোহ করতে পারেন। নতুন বিএনপি গঠনের প্রক্রিয়াকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বেগম জিয়া প্যারোলে মুক্তি চেয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবার আবেদন করবেন। এরকম আবেদন করলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁর প্যারোলের ব্যবস্থা করবে। প্যারোলে মুক্তি পেলে বেগম জিয়া আগামী নির্বাচন করবেন না। কিন্তু ৩১ মার্চের মধ্যে এরকম ঘোষণা না হলে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র নেতারা গঠনতন্ত্রের ৭ধারা পুনরুজ্জীবিত করবেন। দলের বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া দুর্নীতির দায়ে দলীয় পদ হারাবেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এক্ষেত্রে যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাহাবুব উদ্দিন খোকন অথবা মেজর ( অব. ) হাফিজ উদ্দিন হবেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। নতুন নেতৃত্বে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেবেন। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, এরকম দুটি ঘোষণার যেকোনো একটি ঘোষণা আসার পরপরই নির্বাচনী মহাসড়কে প্রবেশ করবে দেশ। কেটে যাবে সব অনিশ্চয়তা ও সংশয়।

সূত্র: বাংলা ইনসাইডার