মীর কাসেম আলী ‌মৃত্যুকে ভয় পান না: আয়েশা খাতুন

0
481
blank

 

ঢাকা: মীর কাসেম আলীর সাথে পরিবারের সদস্যদের শেষ সাক্ষাতের সময় তিনি ছিলেন ধীর, স্থির, শান্ত ও অবিচল। পরিবারের সাথে শেষ সাক্ষাতে তিনি বলেছেন, শাহাদাতের মৃত্যু পরম সৌভাগ্যের। এ মৃত্যু মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কার। এসময় দেশবাসীর জন্য তিনি দোয়া করেছেন এবং তার জন্যও দোয়া করতে বলেছেন। পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিয়ে তিনি বলেছেন, তোমরা কান্নাকাটি করবে না। যে মৃত্যু সৌভাগ্যের তা নিয়ে দু:খবোধের কিছু নেই। আমার শাহাদাতের রক্তের বিনিময়ে এ দেশবাসী এবং যারা মজলুম তারা সবাই উপকৃত হবে। এ রক্তের বিনিময়ে এ দেশে ইসলাম কায়েম সহজতর হবে। ইনশা আল্লাহ তোমাদের সাথে আমার দেখা হবে জান্নাতে। মৃত্যু নিয়ে আমি চিন্তিত নই। এ ধরনের শাহাদাতের মৃত্যু কয়জনের ভাগ্যে ঘটে? মীর কাসেম আলীর সহধর্মিনী খোন্দকার আয়েশা খাতুন নয়া দিগন্তকে আজ শনিবার কথাগুলো বলেন। ছোট ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)-এর নিখোঁজ থাকা বিষয়ে মীর কাসেম আলী দু:খ প্রকাশ করে বলেন, আমি আশা করেছিলাম শেষ সময়ে হলেও তারা (সরকার) তার সাথে আমার সাক্ষাতের সুযোগ করে দেবে। কিন্তু সরকার কত বড় জালিম, শেষবারের মত আমার ছেলেকে দেখতে দিলো না। মীর কাসেম আলী পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধারনের উপদেশ দিয়ে বলেন, সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা করবে। সন্তানদের ভবিষ্যত আল্লাহর ওপর সোপর্দ করে তিনি বলেন, তোমরা যদি কান্নাকাটি না করে হাসিখুশি থাকো তাহলে জালিমরা ভয় পেয়ে যাবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের তিনি ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলার পরামর্শ দেন।

এর আগে আজ শনিবার বেলা তিনটা ৪৫ মিনিটে পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর কারাগার কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেন। মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়শা খাতুন, মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া ও তাহেরা তাছনিম, ছেলের স্ত্রী সাইয়েদা তাহমিদ আক্তার ও তাহমিনা আক্তার, বড় ভাই ডা: মীর নাছিম আলী, ভাইয়ের ছেলে মীর ওসমান বিন নাছিম, ভাইয়ের মেয়ে রায়হানা নাছিমসহ ৪৫ জন সদস্য তার সাথে দেখা করতে কারাগারে যান। তবে কারা কর্তৃপক্ষ স্ত্রী, দুই মেয়ে, দুই ছেলের স্ত্রী, ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজিসহ ২৫ জনকে মীর কাসেম আলীর সাথে দেখা করার অনুমতি দেয় বলে জানা গেছে। বিকেল চারটা ৩৫ মিনিটে তাদের সাক্ষাতের জন্য ভেতরে নেয়া হয়। সাক্ষাৎ শেষে ছয়টা ৪০ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তারা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর বাসা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশে তারা যাত্রা করেন তারা। এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় সাক্ষাতের সময় দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।