মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের এখন নায়ক বানানো হচ্ছে: ড. হাছান মাহমুদ

0
461
blank

ঢাকা: আওয়ামী লীগের মুখপাত্র এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের খল নায়ক, যারা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে অংশ গ্রহণ করেছিলো- তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের নায়ক বানানো হয়েছে৷ বাংলাদেশের ইতিহাস বদলানো গেলেও বিশ্বে যে ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে সেটিকে পাল্টানো যাবেনা৷ সে সময়ের নিউইয়ার্ক টামসসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রমাণপত্র নথিবদ্ধ রয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যারপর বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে৷ এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রচার যন্ত্র থেকে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসিত করা হয়৷ তরুণ প্রজন্মের কাছে তাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে বারবার। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যেগে “ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ‍্যে প্রস্ততি সভায়” প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন৷

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ডের সভাপতি তানিয়া হোসেন, ২১ নাম্বার ওয়ার্ড সভাপতি বাবু মতি লাল রায়, শাহবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এম এ হামিদ খান, ওয়ারী থানার সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেন, পল্টন থানার সভাপতি মো. এনামুল হক এবং ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল প্রমুখ৷

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃত পক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ছিলেন৷ ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে তার ভাষণের মধ্য দিয়েই মুক্তিকামী বাঙালির স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন৷

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ চার দেয়ালের মধ্যে প্রহরী বেষ্ঠিত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলো৷ বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা না হলে আমরা যে উন্নতি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের গল্প শুনি আজ থেকে ২৫ বছর আগেই অন্যান্য দেশের মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শুনতো৷

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন তারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিবেনা৷ বিএনপি যদি আগামী নির্বাচেন অংশগ্রহণ না করে তাদের অবস্থা হবে মুসলিম লীগ এবং জাসদের মতো৷ আমরা চাই বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক৷ কারণ, একটি প্রতিদ্বন্দীতামূলক নির্বাচনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আবারও সরকার গঠন করবে৷

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান কোনো সরকারের অধীনে হয়না, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধিনে৷ আপনারা সংবিধান পডুন, আইন জানুন৷ পৃথিবীর কোথাও নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হয়না, যখন যারা ক্ষমতায় থাকে তখন সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়৷ কারো আবদার রক্ষার জন্য সংবিধানের একচুল ব্যাতয় ঘটানো হবে না।