মেয়র প্রার্থীর ৫৭ শতাংশই ফৌজদারী মামলার আসামি: সুজন

0
419
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনের সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে চারজনই (৫৭.১৪%) ফৌজদারি মামলার আসামি। প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। মোস্তাফিজার রহমান ও সরফুদ্দীন আহম্মদের বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল। কাওছার জামানের বিরুদ্ধে বর্তমান মামলা আছে এবং অতীতেও ছিল। এটিএম গোলাম মোস্তফা, সেলিম আখতার ও হোসেন মকবুল শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই এবং অতীতেও ছিল না। মামলার বোঝা ঘাড়ে নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় নাগরিকদের সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

সুজনের গবেষণায় দেখা যায়, মামলার দিক থেকে কাউন্সিলর প্রার্থীদের অবস্থা আরো নাজুক। ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫২ জনের (২৪.৫২%) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা রয়েছে। এছাড়াও নয়জন কাউন্সিলর ৩০২ ধারায় হত্যা মামলার আসামি। বর্তমানে হত্যা মামলার আসামিরা হচ্ছেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হাসানুজ্জামান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কামরুল হাসান টিটু, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের এমরাউল হাসান এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নূরুজ্জামান জাদু। এছাড়াও অতীতে হত্যা মামলার আসামি ছিলেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শাফিউল ইসলাম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের খায়রুল ইসলাম এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেছার আহমেদ ও ইদ্রিস আলী। নারী কাউন্সিলর ৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে বর্তমানে এবং তিনজনের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল।

নির্বাচন কমিশনের হলফনামা থেকে নেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুজন জানায়, সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে মো. সেলিম আখতার ও হোসেন মকবুল শাহরিয়ার এইচএসসি পাস। বাকিরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। তবে কাউন্সিলরদের মধ্যে ৮১ জন (৩৮.২০%) এবং নারী কাউন্সিলরদের মধ্যে ২৫ জনের (৩৮.৪৬%) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। গড়ে সব মিলে মোট ২৮৪ জনের মধ্যে ৩৭.৩২% প্রার্থী এসএসসি পাস করেননি।

প্রার্থীদের পেশা সম্পর্কে তিনি বলেন, সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনই ব্যবসায়ী। সরফুদ্দীন আহম্মেদ পেশার ঘরে উল্লেখ করেছেন ‘রাজনীতি’। ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে শতকরা ৭০.৭৫% (১৫০ জন) ভাগের পেশাই ব্যবসা। কৃষির সাথে সম্পৃক্ত আছেন ২০ জন। ৬৫ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর অধিকাংশই বা ৪০ জন গৃহিণী। ১৪ জনের পেশা ব্যবসা। তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সর্বমোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে শতকরা ৫৯.৫০% ভাগই (১৬৯ জন) ব্যবসায়ী।

সুজন জানায়, প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার আয় অনেক কম। মোস্তফার চেয়ে বিএনপি প্রার্থীর বাবলার আয় অনেক বেশি হলেও তিনি ঋণগ্রস্ত। নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামা অনুসারে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর কোনো কৃষি জমি নেই। বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৪৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৪০ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন এবং নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ উপস্থিত ছিলেন।