যখন সরকারের জনসমর্থন থাকে না তখন অন্তর্ঘাতমূলক হামলা বাড়ে

0
745
blank

ঢাকা: জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব। কিছু লোক সত্যিকার অর্থে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে আবার কিছু লোক জোর করে স্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। এর কোনটাই ঠিক নয়। এ কারণে মসজিদে হামলার ঘটনাসহ দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাড়ছে। যখন সরকারের ওপর জনসমর্থন থাকে না তখন দেশে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা বাড়ে। সরকার শুধুমাত্র শক্তি প্রয়োগ করে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে পারবে না। মানবজমিনকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সৌদি সামরিক জোটের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের মধ্যে কোন আলোচনা ছাড়াই হুট করে সামরিক জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। সৌদি আরব বলছে এটি আইএসবিরোধী জোট। কিন্তু তাদের আইএসবিরোধী কর্মকা- কি হবে তাতো সঠিক বুঝা যাচ্ছে না। তারা কি বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নিয়ে যাবে কিনা যুদ্ধ করার জন্য সেটাও একটা প্রশ্ন। বাংলাদেশ শান্তি রক্ষায় সৈন্য পাঠালেও কখনও কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য সৈন্য পাঠায় না। যদি সৌদি আরব চায় আইএসবিরোধী হামলায় বাংলাদেশের সৈন্যদের অংশগ্রহণ। তখন বাংলাদেশ তার কমিটমেন্ট কতটা রক্ষা করতে পারবে। এ ধরনের জোটে যাওয়ার আগে সরকারকে বুঝে শুনে জাতীয় সংলাপের ভিত্তিতে যাওয়া উচিত ছিল। যদিও বাংলাদেশে জাতীয় সংলাপের চর্চা উঠে গেছে। অতীতে বাংলাদেশ কখনও কোন সামরিক জোটে যোগ দেয়নি। এ কারণে জোটের বিষয়ে জাতীয় সচেতনতার প্রয়োজন ছিল। এ জোটে যোগ দেয়ার জন্য অনেক মূল্য দিতে হতে পারে। আইএসের বিরুদ্ধে সৈন্য পাঠালে  তারা  যে আমাদের দেশে কোন ক্ষতি করবে কি, করবে না এ বিষয়গুলো বুঝতে হবে। এ জোটে যোগ দেয়ার ফলে কে আমাদের বন্ধু হবে আর কে আমাদের শত্রু হবে বলা মুশকিল। যারা আইএসবিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে আইএসও সেসব দেশের ক্ষতি করছে। আমরা শান্তিতে আছি অশান্তিতে হাত ঢোকানো আমাদের জন্য কতটুকু লাভজনক হবে তা বলা মুশকিল বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের।