যশোরে গুলি ছুড়ে ও সিলেটে কুপিয়ে দুজনকে হত্যা

0
643
blank

নিউজ ডেস্ক: যশোর শহরে শনিবার প্রকাশ্যে সুমন হোসেন বিশ্বাস (২০) নামের এক তরুণকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সিলেট নগরে মিসবাহ উদ্দিন (১৮) নামের এক ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সুমন যশোর শহরের বারান্দিপাড়া কদমতলা এলাকার হানিফ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি মাছের ব্যবসা করতেন। যশোর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও সুমনের পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সুমন জেলা শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার মসজিদের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় একই এলাকার চারজন তরুণ তাঁর খুব কাছে গিয়ে বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজেদের মধ্যে শত্রুতার জেরে সুমনকে হত্যা করা হতে পারে। যারা হত্যা করেছে, তাদের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’ ওসি আরও বলেন, সুমন ও সুমনের হত্যাকারীরা সবাই উঠতি সন্ত্রাসী। তাঁরা একই সঙ্গে চলাফেরা করেন। সুমনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মাদকের একটি মামলা রয়েছে।
সুমনের ভাই শুভ বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে। এর আগেও একবার সুমনের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল।
এদিকে সিলেটে নিহত মিসবাহর বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের চণ্ডীপুরে। তিনি সিলেট কমার্স কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায় ছিলেন। থাকতেন সিলেট নগরের মজুমদারি এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানা-পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে আটটায় শহরের ব্যস্ততম জিন্দাবাজারের ব্যস্ততম কাস্টমস কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ আক্রমণের শিকার হন মিসবাহ। তাঁর বা দিকের কানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একটি কোপ দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় জিন্দাবাজার এলাকায় রাতের পালায় কর্তব্যরত পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন মিসবাহকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই মিসবাহের সঙ্গে থাকা রমজান নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। রমজান পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি মিসবাহর বন্ধু।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদ জানান, মিসবাহ কী কারণে জিন্দাবাজারে অবস্থান করছিলেন এবং হামলার পেছনে পূর্ব শত্রুতা আছে কিনা—তা জানতে রমজানকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মিসবাহকে চাপাতি দিয়ে একটি কোপ দিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়েছে বলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান। তবে হামলাকারীরা সংখ্যায় কতজন ছিলেন— এ বিষয়েও নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেনি।