যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে: নৌপরিবহন মন্ত্রী

0
463
blank
blank

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নাগরিকত্ব বাতিল এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন।

শাজাহান খান বলেন, পালিয়ে যাওয়া যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাদের বিচার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি। একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নাগরিকত্ব বাতিল এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রাথমিক প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ২১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব সৈন্যরা গণহত্যা, ধর্ষণসহ সবধরনের নির্যাতনের নেতৃত্ব দিয়েছিল, সেই নরঘাতক ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যের বিচারকার্য বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে জনমত গঠন করতে হবে। যাদের পাকিস্তানিরা সাচ্চা পাকিস্তানি বলে আখ্যা দিয়েছিল তাদের নাগরিকত্ব বাতিল এবং তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বাংলাদেশে আটকে পড়া অবাঙালি পাকিস্তানিদের পাকিস্তানে ফেরত নিতে বাধ্য করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জামায়াত-শিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের অপসারণ করতে হবে এবং বাহাত্তর সালে চিহ্নিত সাড়ে ১১ হাজার দালাল-যুদ্ধাপরাধীকে বর্তমান বিচারের আওতায় আনতে হবে। এসময় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারসহ আয়োজক সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।