যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী-শিশু সন্তানকে হত্যা

0
488
blank

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় যৌতুকের জন্য নিজের স্ত্রী এবং পাঁচ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে হত্যা করেছে এক পাষাণ্ড স্বামী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

যৌতুকলোভী ওই পাষাণ্ডের নাম মো. সাবের আলী। সে কিছুদিন পর পর নতুন নতুন বায়না নিয়ে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালাতো। সর্বশেষ মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য লাখ টাকা দাবি করেন সাবের আলী (২৬)। টাকা না দিলে পরিণাম ভালো হবে না বলেও জানান তিনি।

শেষ পর্যন্ত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী মাজিদা বেগমকে (২৬) গলাটিপে হত্যা করেন পাষণ্ড স্বামী। শুধু তাই নয়, নিজের পাঁচ মাস বয়সী ছেলে রিদোয়ানকেও হত্যা করেন একইভাবে। হত্যার পর নিজেই পরিবারের অন্য সদস্যদের বিষয়টি জানান তিনি।

এদিকে, ঘটনার পরপরই সাবের আলী, তার বাবা মাহবুব আলম, মা রেনুয়ারা বেগম ও ছোট ভাই শাহজাহানকে আটক করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় বুধবার সকালে নিহত মাজিদা আক্তারের বাবা মো. শাহাব উদ্দিন মেয়ে ও নাতি হত্যার অভিযোগে আটক ওই চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, তিন বছর আগে ঘটা করে মেয়ে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে যৌতুক দাবি করেন মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কয়েকবার যৌতুক হিসেবে নগদ অর্থ দিয়েছি। সর্বশেষ ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর কথা বলে এক লাখ টাকা দাবি করেন তারা। টাকা না দিলে পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুমকি দেন তারা।

সহকারী পুলিশ সুপার মো. কাজী হুমায়ন রশিদ জানান, সাবের আলীর বাড়ির লোকজন রাতের খাবার খেয়ে যার যার ঘরে ঘুমাতে যান। এর কিছুক্ষণ পর সাবের আলী নিজের ঘর থেকে বের হয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা করেছেন বলে পরিবারের অন্য সদস্যদের জানান। তাদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে। বুধবার সকালে তাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাবের আলী হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।