রমজানের আগেই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

0
1269
blank
blank

আসন্ন রোজার আগে ও পরে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। গাজীপুর ও সিলেট সিটিতে রোজার আগে এবং রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচন ঈদের পরে করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে হচ্ছে ৪ মে। এই পরীক্ষার পরই এই দুটি সিটিতে নির্বাচন হতে পারে। ১৭ মে রোজা শুরু হওয়ার দিনক্ষণ ধার্য করে এর আগেই হবে গাজীপুর ও সিলেট সিটি নির্বাচন। আর রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন ঈদের পর জুলাইয়ে হবে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যেকোনো সময় ভোট গ্রহণ করতে হবে। এই পাঁচ সিটির সবগুলোতে ২০১৩ সালে নির্বাচিন হয়েছিল। আইন অনুযায়ী গাজীপুর সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। সিলেট সিটির ৮ সেপ্টেম্বর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর, বরিশাল সিটির ২৩ অক্টোবর মেয়াদ পূর্ণ হবে।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটিতে সীমানা জটিলতা আছে। সেখানকার ছয়টি মৌজা ঢাকার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নভুক্ত। এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম। হাইকোর্ট এটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিলেও এ বিষয়ে এখনো ফয়সালা হয়নি।

এজন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট করপোরেশনের সীমানা, ওয়ার্ড বিভক্তিকরণ, আদালতের আদেশ প্রতিপালন ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থাসহ মতামত জানানোর জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দিয়েছে ইসি।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর এ চিঠি দেন ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান।

এর মধ্যে সীমানা জটিলতায় থমকে গেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। তাই এই পাঁচ সিটিতে নির্বাচন আয়োজনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে চায় না ইসি।

সূত্র জানায়, এবার স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্বাচন করার জন্য চিঠি দিলেই হবে না, তাদের স্পষ্ট জানাতে হবে, কোনো সিটি করপোরেশনের সীমানা বেড়েছে কি না, নতুন ওয়ার্ড হয়েছে কি না বা অন্য কোনো জটিলতা রয়েছে কি না। ঢাকার মতো এই পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় যাতে কোনো ঝামেলায় পড়তে না হয়, তাই সবকিছু ঠিক করেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস আগে ২০১৩ সালের জুন-জুলাইয়ে পাঁচ সিটিতে নির্বাচন হয়। পাঁচটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিএনপির কাছে পরাজিত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এরপর হয় কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন। কয়েক মাস আগে শেষ হয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন।