রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজলুল হকের নির্বাচন বর্জন

0
487
blank
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: আজ ৪ জুন শনিবার জগন্নাথপুর উপজেলার ৬নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অথচ নির্বাচন কমিশন ও আ.লীগের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর উপর ক্ষোভে-দুঃখে নির্বাচন বর্জন করেছেন হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী  বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজলুল হক। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মজলুল হক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সুনাগঞ্জের পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন সমন্বয়ক, জগন্নাথপুর থানার ওসি, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৃথকভাবে লিখিত আবেদন করেন।

আবেদনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজলুল হক উল্লেখ করেন, গত ২৮ মে ২০১৬ ইং তারিখে জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের সাথে রানীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে আমিও চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে আমি একটি মামলা দায়ের করি। মামলার আলোকে মহামান্য হাইকোর্ট রানীগঞ্জের নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষনা করে আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার কারণে আমি সকল প্রকার প্রচার-প্রচারনাসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করে দেই। পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে প্রতিপক্ষের আপিলের প্রেক্ষিতে শুনানীকালে নতুন সিডিউলের মাধ্যমে নির্বাচনের পক্ষে আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট নির্বাচনের কোন তারিখ ধার্য্য না করলেও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের সেই আদেশের প্রতি সম্মান প্রর্দশন না করে হঠাৎ আইন ও বিধি লঙ্গন করে সিডিউল বর্হিভূতভাবে ৪ জুন ২০১৬ ইং তারিখে রানীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। কিন্তু আইনে বলা আছে, অন্তত এক মাস হাতে রেখে নতুন সিডিউল ঘোষণা দেয়া। পরে সিডিউলের আলোকে নির্বাচনের নির্দেশনা দেয়া। অথচ আইনের প্রতি কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে রায় প্রদানের এক দিনের মাথায় নির্বাচন কমিশন কিভাবে নির্বাচনের পক্ষে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা আমার বোধগম্য নয়। এছাড়া গত কয়েক দিন আগে মাধবপুর থানার নোয়াপাড়া এলাকায় আমার প্রতিদ্বন্ধি নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের লোকজনের হামলায় আমি গুরুত্বর আহত হই। বর্তমানে আমি নির্বাচনে অংশ নিলে আমি ও আমার লোকজনকে খুন খারাপিসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাসাবে বলে নৌকার প্রার্থী ও তার লোকজন হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকি জনিত কারণে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এমতাবস্থায় আমার জানমালের নিরাপত্তার অভাবে বাধ্য হয়ে আমি নির্বাচন বর্জন করছি। নির্বাচন বর্র্জন করে আমার নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করে নিরাপত্তার স্বার্থে আমি ঢাকায় চলে গেলাম।