শিক্ষা পেয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা: প্রধানমন্ত্রী

0
431
blank

স্টাফ রিপোর্টার: দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ ও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে যে অবহেলা করা যায় না। আন্তর্জাতিক সংস্থা যারা কথায় কথায় মিথ্যা দোষারোপ করে; তাদের কাছে নতজানু করে রাখতে চায়, তারা শিক্ষা পেয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৭ সালের স্বাধীনতা পদক বিতরণ শেষে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মাসেতু নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এবং অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক। যে অভিযোগ ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা। কানাডার ফেডারেল কোর্টে যা প্রমাণ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করবো। নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করা শুরু করেছি। এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’

‘আর বাঙালিকে কেউ এভাবে মাথা নিচু করে চলার ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।’

সরকার বার্ষিক উন্নয়নের ৯০ শতাংশই নিজের অর্থায়নে করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ একটি দেশকে এগিয়ে নিতে যা যা প্রয়োজনীয় তার সবই একে একে করছি। যার শুভ ফল দেশের মানুষ পাচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল এই আট বছর নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে আজকে বাংলাদেশকে বিশ্ব মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। আগামী দিনে যারা দেশের জন্য কাজ করবে, আমি আশা করছি, তারা আমাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দরিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।’

স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সমাজের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। আমি মনে করি, সমাজে যারা নিজের জীবনকে উন্নত করে গড়ে তুলতে চান তারা আপনাদের পথ অনুসরণ করবেন।’
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ছবি: সংগৃহীত
সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের সঠিক ইতিহাস জানার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিজয়ের ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হয়ে একটা বিকৃত ইতিহাস যদি কেউ জানে- তবে তার চরিত্র বিকৃত হয়ে যায়, বিকৃতির পথেই চলে যায়।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীর উত্তম, আশরাফুল আলম, শহীদ মো. নজমুল হক, মরহুম সৈয়দ মহসিন আলী, শহীদ এন এম নাজমুল আহসান, শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।

চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, সাহিত্যে রাবেয়া খাতুন ও মরহুম গোলাম সামদানী কোরায়শী।

সংস্কৃতিতে অধ্যাপক এনামুল হক ও ওস্তাদ বজলুর রহমান বাদল। সমাজসেবায় খলিল কাজী ওবিই, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে শামসুজ্জামান খান ও অধ্যাপক ললিত মোহন নাথ (প্রয়াত) এবং জনপ্রশাসনে অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সচিব, কূটনীতিক, সংসদ সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আল