শি জিনপিং-খালেদা জিয়া বৈঠক: ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন

0
983
blank

ঢাকা: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রাজধাধীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে আজ শুক্রবার বিকেলে ৪০ মিনিটের বৈঠকে উন্নয়ন ও ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে চীন যে ভূমিকা রাখছে, বাংলাদেশও তার পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন শি জিনপিং।

বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে চীনের রাষ্ট্রপতির সাথে বেগম খালেদা জিয়ার আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ সব সময় আশা করে, চীন তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সবসময় সহযোগিতা করবে ও পাশে থাকবে। একই সাথে চীনও আশা করে, চীনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীন যে ভূমিকা পালন করছে বিশেষ করে উন্নয়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সে বিষয়ে সমর্থন যোগাবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।

রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানের ১৪তলায় প্রেসিডেন্ট স্যুটে ৪০ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকের পুরো সময়টাই দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

জানা গেছে, আনুষ্ঠানিক বৈঠকের শুরুতে বেগম খালেদা জিয়া চীনা প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশে আসায় তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সূচিত চীন-বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের বিষয়ে তুলে ধরেন। বিএনপি সরকারের সময় চীনের উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়টিও তুলে ধরেন বেগম জিয়া।

চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের সাথে চীনের অকৃত্রিম সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। চীন বাংলাদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু।

বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। চীনের রাষ্ট্রপতির সাথে আসা কয়েকজন মন্ত্রী ও ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

বৈঠক শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়নি। পুরো সময়টাই দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়, বিএনপির সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্টও বিএনপির সাথে সুসম্পর্কের দিকগুলো স্মরণ করেছেন।