শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সফল হবে না: কৃষিমন্ত্রী

0
467
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, অতীতে আইয়ুব খান ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সফল হননি। পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র ভেদ করে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। একইভাবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেও কেউ সফল হবেন না। সব ষড়যন্ত্র ভেদ করে তিনি এগিয়ে যাবেন, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবেন।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ‘এ’ ব্লক মিলনায়তনে ‘কারাগারের রোজনামচার’ ওপর আয়োজিত বক্তৃতামালা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শোকের মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএসএমএমইউ এ সভার আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একইসূত্রে গাঁথা। পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল আর ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ বহু নেতাকর্মী হতাহত হন।’

স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্র এই ষড়যন্ত্র ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রোমন্থন করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি নিজের দুঃখ-কষ্ট, নির্যাতন ভুলে সারা জীবন অন্যদের অভয় দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর কারণেই আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।’

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, “বেগম মুজিব তৎকালীন সময়ে কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে খাতা-কলম দিয়ে সহায়তা না করলে ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি আজ আমরা পেতাম না। তাই ঐতিহাসিক এই বইটির জন্য বেগম মুজিবের অবদান অনস্বীকার্য।”

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এমপি। মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট জানতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুর লেখায় বিশ্বাসঘাতকদের কথা বারবার ফুটে উঠেছে। সেই বিশ্বাসঘাতকরা আজও সক্রিয়। বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।’

ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর সর্বব্যাপী সহানুভূতি, মানবিকতা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের রাজনৈতিক সচেতনতা প্রকাশ পেয়েছে। রাজনৈতকভাবে তিনি কতটা দূরদর্শী ছিলেন তা এই গ্রন্থ পাঠ না করলে জানা যাবে না।’

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএসএমএমইউর তিন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল , বেসিক সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলন প্রমুখ।