ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকার নাটক করেছে: মির্জা ফখরুল

0
790
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকার নাটক সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যে বৈধতা নেই এবং সরকারের টিকে থাকার নৈতিক অধিকার নেই তা এই রায়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই রায়ে যে বিষয়গুলো এসেছে তা ধ্রুবতারার মত সত্য। রায়ে অতি সত্য কথা বেরিয়ে এসেছে। সোমবার বেলা ১২টায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজ নির্বাচনী এলাকায় বন্যায় দুর্গতের ত্রাণ বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারতের বাঁধগুলো খুলে দেয়ার কারণেই হঠাৎ করে উত্তরাঞ্চলের তিস্তাসহ সকল নদ-নদীতে অনেক বেশি পানি প্রভাহিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য সরকারের যা করা উচিত ছিল দুর্ভাগ্যজনক সেটি লক্ষ্য করা যায়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আশা করবো সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে বন্যায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসবেন। এছাড়া বন্যা দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আমাদের নেত্রী নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ষোড়শ সংশোধনী রায় নিয়ে সরকার বাংলাদেশে নাটক সৃষ্টি করেছে। এই রায়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগের যে বৈধতা নেই সরকারে টিকে থাকার, নৈতিক যে অধিকার নেই এই রায়ে সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই রায়ে যে বিষয়গুলো এসেছে তা ধ্রুব তারার মত সত্য।

ষোড়শ সংশোধনী রায়ে অতি সত্য কথা বেড়িয়ে এসেছে, সেই সত্য কথা না বলার জন্য আওয়ামী লীগ সংবিধানে আইনও তৈরি করেছেন। তাদের যে একদলীয় মানসিকতা তৈরির জন্য নানা কাজ করছে। আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস আদালতের যে রায় তাদের মত না হলে, সেটি তারা মানতে রাজি না।

তিনি আরো বলেন, এই রায়টি একটি সত্যকে তুলে ধরেছে তাই আমরা এই রায়টাকে বলছি ঐতিহাসিক যুগান্তকারী রায়। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ যেটা করতেছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা চাই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং সংলাপের আয়োজন করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে সরকার।

এ সময় আরো উপস্থিতি ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, জেলা যুবদলের সভাপতি মহেবুল্লাহ আবু নূর চৌধুরী প্রমুখ।