সঠিক সাংবাদিকতার জন্য কেউ জেলে যাননি: তথ্যমন্ত্রী

0
1000
blank
blank

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সঠিক সাংবাদিকতা অথবা সত্য তথ্য প্রকাশের জন্য কোনো সাংবাদিক হয়রানির শিকার হননি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে যেসব সাংবাদিক কারাগারে গেছেন, তারা রাজনৈতিক ‘দুষ্কর্ম ও সুনির্দিষ্ট অপরাধ’ করেছেন। গতকাল তথ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ইনু বলেন, সঠিক তথ্য প্রকাশ করায় কোনো সাংবাদিক নিগৃহীত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। যারা কারাগারে গেছেন, তারা রাজনৈতিক দুষ্কর্ম করেছেন। তথ?্যমন্ত্রী বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা সাংবাদিকদের মাথার ওপরে নেই, এটা দেশের আইন। বাংলাদেশে সিআরপিসি অনুযায়ী ৩৪টির বেশি আইন আছে যে আইনে প্রাথমিক গ্রেপ্তারের পর জামিন পাবেন না। সুতরাং আপনারা আরও তথ্য জানবেন, দণ্ডবিধি জানবেন। ৫৭ ধারাতে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের কেউই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলতে পারেননি যে নিরাপরাধ। তারা যে অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন তা সুনির্দিষ্ট অভিযোগে, তার সঙ্গে গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রসঙ্গত, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার অপব্যবহার স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি দাবি করে এই আইনের ১ ও ২ নম্বর ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন সম্পাদক পরিষদসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

২০০৬ সালে পাস হওয়া এ আইনটি ২০০৯ ও ২০১৩ সালে দুই দফা সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ সংশোধনে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর থেকে ১৪ বছর কারাদণ্ড করা হয়। আর ৫৭ ধারার অপরাধকে করা হয় অজামিনযোগ্য। তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে সাত বছরে আমাদের সমালোচনা করার জন্য, সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করা নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য কেউ নিগৃহীত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তথ্য মন্ত্রণালয় বা আমাদের তরফ থেকে কিংবা গণমাধ্যমের নীতিনৈতিকতা ভঙ্গের জন্য কাউকে  গ্রেপ্তার করা হয়নি। ইন্টারনেটে সামাজিক গণমাধ্যমে লেখার জন্য দু-একজন সাংবাদিককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক গণমাধ্যমে দেড় কোটির বেশি সদস্য, এদের কয়জনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে? ৩০-৩৫টি ওয়েব পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এগুলো সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে, তা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। কর্তৃপক্ষকে ডাকা হচ্ছে, বহুজনই কিন্তু হাজির হচ্ছেন না। তাদের খবরের বিষয়ে বুঝিয়ে বলতে বলা হচ্ছে। যদি তারা সঠিক তথ্য দিয়ে বুঝিয়ে বলতে পারেন তাহলে তাদের পোর্টাল চালু হয়ে যাবে। এক হাজার আটশর বেশি ওয়েব পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য তথ্য অধিদপ্তরে আবেদন জমা দিয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী ছাড়াও তথ্য অধিদপ্তর এবং তথ্য কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।