সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে সম্মেলন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের উপনাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান নিশু, সহসম্পাদক ইমরান জোয়ার্দার, ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মাহবুব হোসেন খান, সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হাসান, স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এস এম কামাল উদ্দিন এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী সাগর রহমান।
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বের হয়। তখন ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিয়ে কথা বলতে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাগর হোসেন, মিশু, মিশকাতসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী তার কাছে সম্মেলনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। সোহাগ তাদের সঙ্গে কথা না বলতে চাইলে তারা সোহাগের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসেন। এ সময় পাশে থাকা সোহাগের অর্ধশতাধিক সমর্থক তাদেরকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সম্মেলন প্রত্যাশী ৬ জন আহত হন।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন বলেন, আমরা সভাপতিকে বলি ছাত্রলীগে থেকে যারা কোটা সংস্কার নিয়ে পোস্ট দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে। এক পর্যায়ে সম্মেলনের বিষয়ে প্রশ্ন তুললে সোহাগ ক্ষেপে যান। পরে সোহাগের সঙ্গে নেতাকর্মীরা চড়াও হন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, যারা সম্মেলনের বিষয়ে কথা বলতে এসেছিল তারা বিভিন্ন হলে বহিষ্কৃত। তাদের বিরুদ্ধে চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে।