সরকারের হস্তক্ষেপে মেডিকেল রিপোর্ট জমা হয়নি: মির্জা ফখরুল

0
452
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ৭ দিন পিছিয়ে দেয়া এবং বেগম জিয়ার আইনজীবীদের মৌখিক আবেদন গ্রহণ না করায় সমগ্র জাতি আজ শুধু হতাশই নয়, বিক্ষুব্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়া হয়নি। যা আদালত অবমাননার শামিল। বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত বিস্ময় এবং উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলার শুরু থেকেই সাধারণ মানুষ যে সুযোগ-সুবিধা পান তাকে সেটুকুও দেয়া হয়নি। এ ধরণের মামলায় সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে জামিন হয়। কিন্তু বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এটা হয়নি। তার জামিন পদে পদে বাধা দেয়া হচ্ছে। তার জামিন না দেয়াটা প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধেই শুধু নয়, অমানবিকও বটে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য প্রতিবেদন উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত অবমাননা করেছেন বলে আমরা মনে করি। আনঅফিসিয়াল সূত্রের খবর অনুযায়ী বুধবার রাতে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য রিপোর্ট রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু এটা জমা দেয়া বন্ধ হয়েছে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে।

‘খালেদা জিয়া রাজার হালে আছেন’-বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি আদালতের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল, আদালত অবমাননার শামিল। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার চান না দেশনেত্রীর জামিন হোক। তিনি দেশনেত্রীকে ‘গডফাদার’ বলেছেন, বলেছেন ‘রাজার হালে’ আছেন। এর মাধ্যমে তিনি বিএসএমএমইউকে ভয় দেখিয়েছেন।