সরকার একতরফা নির্বাচনের মহড়া দিচ্ছে: জামায়াতে ইসলামী

0
451
blank
blank

বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০দলীয় জোটের ওপর সরকার বর্বর জুলুম ও নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান শনিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার জামায়াত ও বিএনপিসহ ২০দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার, অত্যাচার ও নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। সরকারের এ জুলুম-নির্যাতনের পরিণতি কখনো শুভ হবে না। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সভা-সমাবেশ করা এ দেশের জনগণের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার। কিন্তু সরকার ২০দলীয় জোটকে সে অধিকার ভোগ করতে না দিয়ে চরম ফ্যাসিবাদী আচরণ করছে।

২০দলীয় জোট নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার বিএনপিকে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিই পালন করতে দিচ্ছে না। বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করছে। গত ৮ই মার্চ বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি থেকে একজন ছাত্র নেতাকে মারতে মারতে বিবস্ত্র করে পুলিশ অস্ত্র উঁচিয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার আগেও বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ সাদা পোশাকে অস্ত্র উঁচিয়ে নেতাকর্মীদের ধাওয়া এবং গ্রেপ্তার করেছে। শুধু তাই নয়, ৭ই মার্চ পুলিশের প্রহরায় আওয়ামী লীগের ৪টি মিছিলে মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে, যার খবর জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এসব অঘটন গোটা জাতির জন্য লজ্জাকর ও উদ্বেগজনক। সরকারি ক্ষমতা ও অর্থের অপব্যবহার এবং অপচয় করে সরকার সারা দেশে জনসভা করে নৌকায় ভোট চাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়। এতে আরো বলা হয়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কোথাও জামায়াত-বিএনপিসহ ২০দলীয় জোটকে সভা-সমাবেশ করতে না দিয়ে সরকার কার্যত ষড়যন্ত্রমূলক একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের নাটক করার মহড়া দিচ্ছে। সরকারের এ ধরনের ষড়যন্ত্র দেশকে গভীর রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে ফেলে দেবে।