সাইফুর রহমান কখনো দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেননি: ফখরুল

0
597
blank
blank

অনলাইন প্রতিবেদক: সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী সাইফুর রহমানের কথা স্বরন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাইফুর রহমানরা থাকলে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতো না। সাইফুর রহমান সাহেবরা দেশ প্রেমিক ছিলেন, তারা দেশকে ভালবাসতেন। নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য তারা দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেননি, দেশ বিক্রি করে দেননি। সাইফুর রহমান সাহেবরা থাকলে ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক গড়ে উঠতো না। দেশে লুটেরা অর্থনীতি চালু হতো না।

তিনি বলেন, সাইফুর রহমান থাকলে দেশের টাকা জমা দিয়ে ৩৭ লক্ষ টাকা দিয়ে পর্দা কেনা হতো না। পর্দার কাছে বালিশ তো হেরে গেছে।

সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য এম সাইফুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী কামাল ইবনে ইউসুফ, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যখন দুর্ভিক্ষ লেগে গিয়েছিল, যখন খাদ্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল,মানুষের অভাব এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে পরনের কাপড়ে ঠিকমতো পেত না। এখনো মনে আছে এই দুর্ভিক্ষের সময় কুড়িগ্রামে বাসন্তী তার লজ্জাস্থান ঢাকার জন্য একটি কাপর পাননি। সেই অর্থনীতিকে পাল্টে দিয়ে আজকে যে সম্ভাবনাময় অর্থনীতি বাংলাদেশে তৈরি করেছে এর ভিত্তি স্থাপন করেছে এই সাইফুর রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে। এটা হল বাস্তবতা। এটা তারা অবলীলা অস্বীকার করছে। এটা আমার মনে আছে ওই সময় মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের নাম দিয়েছিলেন নীতির বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পাল্টে দেয়া, বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে পাল্টা দেয়া, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পাল্টে দেয়ার কাজ শুরু করেছিলেন আমাদের সাইফুর রহমান। মির্জা ফখরুল বলেন, এম সাইফুর রহমান একজন অত্যন্ত মেধাবী পেশাজীবী ছিলেন। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিণত হয়েছিলেন। মানুষের প্রয়োজন ও যুগের প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমষ্টিগত শৃঙ্খলার মধ্যে উনি নিয়ে এসেছিলেন। একটা ডিসিপ্লিন ইকোনমিক তৈরি হয়ে হয়েছিলো। এখানে চুরি-চামারি ইচ্ছা করলেই করা যেত না। এখানে ইচ্ছা করলেই কেউ পুকুর চুরি চুরি করার সুযোগ পেত না। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট ৩০ হাজার কোটি টাকা করার কোনো সুযোগ ছিল না। তিনি এতটাই দেশপ্রেমিক ছিলেন যে অনেকেরই মনে আছে তখন সারপ্রাইজ ক্রেজি প্রজেক্ট তিনি বাতিল করে দিয়েছিলেন।