সিলেটে আফজাল-ছয়ফুল বাহিনী; বেপরোয়া হামলার শিকার ১ ব্যবসায়ী

0
923
blank

সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের পাইকারগাঁও গ্রামের আফজাল-ছয়ফুল বাহিনীর হামলার শিকার একই গ্রামের ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া (৫৫) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই ব্যবসায়ীর গায়ে ৮২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় ৬জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ রাত ১১টার দিকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন পাইকারগাঁও এর মৃত উস্তার আলীর পুত্র সিরাজ মিয়া। বাইপাস এলাকায় পৌঁছামাত্র ছিনতাইকারি গ্রামের আব্দুল মুছব্বিরের পুত্র আফজাল (৩৮) ও ছয়ফুল (২৮) এর নেতৃত্বে কয়েকজন তার উপর হামলা চালায়। সারা শরীরে চাকু দিয়ে কুপ এবং মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে সিরাজ মিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় ছিনতাইকারিরা তার সব টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে সিরাজ মিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসকরা তার গায়ে ৮২টি সেলাই দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিরাজ মিয়ার স্ত্রী রেবু বেগম।
ঘটনার পর সিরাজ মিয়ার পক্ষে মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী রেবু বেগম। মামলায় আফজাল, ছয়ফুল ছাড়াও দক্ষিণ সুরমার গকুলপুর গ্রামের ঠাকুর মিয়ার পুত্র আব্দুল আহাদ (৩৮), একই গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র রাবেল হোসেন (২৫), জালালাবাদ থানার পাইকারগাঁও রাজবাড়ির নিশমত আলীর পুত্র লেচু মিয়া (৪৮) এবং একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র জাবেদ (৩৪) কে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ্র দে জানান, প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। ছয়ফুল ও আফজালের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। হামলার শিকার ব্যবসায়ীর শারিরিক অবস্থা গুরুতর। মামলা এখনও এফআইআর হয়নি। তদন্ত শেষে খুব শিগগিরই মামলা এজহার হিসেবে ইস্যু করা হবে।
এদিকে, আফজাল-ছয়ফুল বাহিনীর হাতে অত্যাচার ও ছিনতাই’র শিকার মৃত নছিম উল্লাহ’র পুত্র মো. সাজিদ মিয়া (৫০)। তিনি অভিযোগ করেন, গত ৩০ নভেম্বর জমজ মৃত দু’টি সন্তান জন্ম দেন তার স্ত্রী। রাগীব-রাবেয়া হাসপাতাল গেইটের পাশে তিনি আফজাল-ছয়ফুল বাহিনীর হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হন। স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ বাবদ পকেটে থাকা সব টাকা ছিনতাইকারিরা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় এজহার দিলেও অজ্ঞাত কারণে তা গ্রহণ করা হয়নি।