সিলেটে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ

0
698
blank
blank

সিলেট: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ দিন আটকে রেখে বিশ্বনাথের এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বিত্তবান পরিবারের যুবক হাবিব আলী মিঠু (২৪)। সে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের কোনাউড়া নোয়াগাঁও গ্রামের মনোহর আলীর পুত্র। এ ঘটনায় নওধার বৈরাগীগাঁও গ্রামের দিনমজুর তরুণীর পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত হাবিব আলী মিঠুকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এরআগে গত ২০শে অক্টোবর আসামি মিঠুসহ ধর্ষিতাকে থানায় হাজির করা হলেও রহস্যজনকভাবে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার ৯দিন অতিবাহিত হওয়ার পর নিজেদের গা বাঁচাতে পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ১১ই অক্টোবর দুপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় হাবিবুর রহমান মিটু। এরপর দীর্ঘ ১০ দিন তার বাড়িতে একটি নির্জন ঘরে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন মেয়েকে না পেয়ে ৭ দিন পর ১৮ই অক্টোবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা।

ওই ডায়েরি করার পরদিন ১৯শে অক্টোবর ধর্ষক ‘মিটুর বাড়িতে যান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নবী হোসেন। তদন্ত কর্মকর্তা হুমকি দিয়ে যাওয়ার পরদিন ২০শে অক্টোবর ওই তরুণীকে সাথে নিয়ে থানায় হাজির হয় ‘মিটু’ ও তার পরিবারের লোকজন। সেখানে বিয়ের ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা হলে মেয়ে গরীব বলে এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি ‘মিটু’র পরিবারের লোকজন। এসময় স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর ধর্ষক মিটু’র পক্ষে কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দেন। আর ওই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। থানা থেকে ছাড়া পেয়ে ধর্ষক মিটু’র পক্ষের মাতব্বররা বিয়ের কথা পাল্টে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে নিষ্পত্তির প্রস্তাব করেন। দীর্ঘ ৯দিন এমন নাটকীয়তা চলে। এর মধ্যে বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। লোকমুখে জানাজানি হলে অনেকটা বিপাকে পড়ে ২৯শে অক্টোবর রাতে মামলা নিতে বাধ্য হয় পুলিশ। মামলা নিলেও আসামি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নবী হোসেন। ৩০শে অক্টোবর তরুণীকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি’তে ভর্তি করার জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ওসি শামীম মূসা বলেন, ২০শে অক্টোবর আসামি হাবিবুর রহমান মিটু থানায় হাজির হয়নি। সেদিন ভিকটিমকে সাথে নিয়ে থানায় শুধু তার বাবা হাজির ছিলেন।