সীমান্তে অতিরিক্ত কোনো পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
573
blank
blank

নিজস্ব প্রতিনিধি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের কাছে অবৈধ বাংলাদেশীদের সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে। কোনো বাংলাদেশী অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করলে জাতীয়তা যাচাই-বাছায়ের নির্ধারিত নিয়ম অনুসরন করেই তাদের ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজও একটি অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে অনানুষ্ঠানিভাবে অনেকক্ষণ আলাপ হয়েছে। সফর স্থগিত করার কারণে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে মানুষ আসার প্রবণতা বৃদ্ধি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন বেশ ভাল। এখানে এসে তারা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছেন। ভারতের অনেকেরই এখন চাকরি নেই। তাই দালালরা তাদের বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত করছে। পুশইনের কথা ভারত সরকার বারবার অস্বীকার করছে। তিনি বলেন, সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের নিজ দেশে আসার অধিকার অবশ্যই আছে। কিন্তু অন্য কোনো দেশ থেকে আসলে আমরা ফেরত পাঠিয়ে দেব।

সম্প্রতি ভারত সফর স্থগিত করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব একসাথে দেশের বাইরে না থাকার একটি অলিখিত নিয়ম চালু রয়েছে। এখন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সচিব দেশের বাইরে। অন্যদিকে বিজয়ের মাস উপলক্ষে বেশ কয়েকটি ইভেন্ট রয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় আমার দিল্লি সফর স্থগিত করা হয়েছে। এর সাথে ভারতের পার্লামেন্টে নাগরিকত্ব আইন পাসের সম্পর্ক নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, অবৈধ বাংলাদেশী ইস্যুতে ভারতের অনেকেই রাজনৈতিক কারণে অনেক কিছু বলে থাকেন। এগুলো গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন আমরা অনুভব করি না। আমরা ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতিতেই আস্থা রাখতে চাই। এ ব্যাপারে স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ১৯৮৫ সালে পাস হওয়া একটি আইন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, যা কোনোভাবেই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না।