সুনামগঞ্জের প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ১৪ বছরের হামিদা

0
472
blank
blank

স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের সাক্তারপাড় গ্রামে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ১৪ বছরের কিশোরী হামিদা বেগম।
সে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের সাক্তারপাড় গ্রামের মোঃ গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় সোমবার দুপুরে কনে পক্ষ ও পাশর্^বর্তী বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার সলুকবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে মুর্শেদ আলীর(২২) এর সাথে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতির ভিত্তিতে এই অল্প বয়সের কিশোরীকে বাল্যবিবাহ দেয়ার জন্য বর পক্ষের আগমনের পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চলছিল। ঠিক সেই মুহুূর্তে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহানের কঠোর হস্তক্ষেপে এবং সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল্লাহর নিদের্শে থানার এস আই মাহবুুবের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এই বাল্যবিবাহটি বন্ধ করে দেন। পুলিশের আসার খবরে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
এ ব্যাপাারে গৌরারং ইউনিয়নের স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে জানান কিশোরী মেয়ে হামিদার বয়স ১৮ বছর হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে । পরবর্তীতে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেন মেয়েটির বিয়ের বয়স পুরোপুরি না হওয়াতে এই বিয়েটি প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার এস আই মাহবুব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান এ ধরনের আইন বিরোধী কোন কাজ প্রশাসন মেনে নিতে পারেনা। ঘটনাগুলো আামদের নজরে আসার সাথে সাথেই আমরা প্রশাসনের তরফ থেকে এই বাল্যবিবাহটি বন্ধ করে দিয়েছি।