সুনামগঞ্জের শাল্লায় শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টা

0
652
blank
blank

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লায় এক শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির দায়ে সুরঞ্জিত দাস নামে এক বখাটে যুবককে গ্রেফতার করেছে শাল্লা থানা পুলিশ। উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের আঙ্গারুয়া গ্রামের সুনীল দাসের বড় ছেলে বখাটে সুরঞ্জিত ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক দিনপুর্বে একই গ্রামের মন্দির বিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের এক শিক্ষিকা পাড়ার একটি বাড়িতে বেড়াতে গেলে বখাটে সুরঞ্জিত তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। শিক্ষিকার চিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে আসলে বখাটে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে শিক্ষিকার স্বামী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে শাল্লা সদর বাজার থেকে বখাটে সুরঞ্জিত কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এবিষয়ে শিক্ষিকা বলেন গ্রামে বড় গুষ্টির লোক বলে নানা রকমের অন্যায় অবিচার করলেও বখাটে সুরঞ্জিতের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কথা বলার সাহস কাহারই নাই। সেই প্রভাব খাটিয়ে সে মন্দির বিত্তিক স্কুলের সভাপতি হয়। সেই সুবাদে সুরঞ্জিত আমাকে প্রতিনিয়ত বাজে বাজে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে।

আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন সুযোগ বুঝে সে আমার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। তার পর ও সে ক্ষান্ত হয়নি। আমাকে দেখলে বিভিন্ন অশালীন কথা বলে। পরে নিরুপায় হয়ে বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে তিনি আইনের আশ্রয় নেন। তিনি বলেন আমি এই বখাটের যন্ত্রণায় এক বার আত্মহত্যার পথে এগিয়ে ছিলাম। আমি তার অপরাধের সঠিক বিচার দাবি করছি।

এবিষয়ে গ্রামের বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে বলেন, সুরঞ্জিত খুবই বাজে প্রকৃতির ও উশৃঙ্খল লোক। সে তার মা বাবার সাথে খুবই খারাপ আচরণ করে যা সমাজে গ্রহন যোগ্য নয়। শুধু তাই নয় ইতি পুর্বে আরো দুই জন মহিলার সঙ্গে ও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। সেই বিষয়ে মহিলার ছেলে বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে সালিসি প্রক্রিয়ায় বিষয় মিটমাট করা হয়েছিল। তার পর ও সে তার চরিত্র সঠিক করতে পরেনি। তারা এই বখাটে সুরঞ্জিতের অপকর্মের সঠিক বিচার হোক এটি প্রত্যাশা করেন।

এ বিষয়ে শাল্লা থানা অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, সুরঞ্জিত দাসের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে থাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।