সুনামগঞ্জে আজাদ হত্যাকাণ্ডের ভাড়াটিয়া খুনি গ্রেফতার

0
1267
blank

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আজাদ মিয়া হত্যাকাণ্ডের ভাড়াটিয়া খুনি শ্রাবনুজ্জামান শ্রাবণকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের দক্ষিণ আরফিন নগর এলাকার মৃত মখলিছুর রহমান মখলিছের ছেলে।
বুধবার ভোর রাতে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর শহরের দক্ষিণ আরফিননগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের আলামতসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত আজাদ মিয়া মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের জলালপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

গ্রেফতারের বিষয়ে আজ দুপুর ১টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গ্রেফতারকৃত আসামির উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান। তিনি জানান যে কেউই অপরাধ করলে সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁচতে পারবে না।

তিনি বলেন গত এক সপ্তাহে সুনামগঞ্জে যে তিনটি হত্যাকাণ্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সংগঠিত হয়েছে তা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই মূলত হয়েছে। তবে পুলিশ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চিহিৃত খুনিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর বলেও জানান। এজন্য সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা চান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার টু মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তারেক, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ, ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিবি ওসি কাজি মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী, ওসি অপারেশন আহমেদ মঞ্জুর মুরশেদ ও টি আইও মো. সামছুল আলম প্রমুখ।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার আফিসার ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ খুনি গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই গ্রেফতারকৃত ভাড়াটিয়া আসামি শ্রাবনুজ্জামান শ্রাবণ হাওর বাঁচাও নেতা আজাদ মিয়াকে গত ১৪ই মার্চ সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায় লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঐ রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি গত ১৭ই মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আজিজ মিয়া গত ১৮ই মার্চ মোল্লাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।