সুনামগঞ্জে প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাধের অভিযোগ

0
1015
blank
blank

কৃপেশ রজ্ঞন দাস, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ৪৮ নং পৈন্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিৎ কুমার দাস ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাধ সহ নানান অনিয়ম ও র্দূনীতির অভিযোগ উঠেছে।

প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতায় উপবৃত্তির চাহিদা ও কার্ডে অনেক গড়মিল থাকায় তাদের অভিযুক্ত করে গতকাল রবিবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও গ্রামের ২০ জন অভিভাবকদের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অবিযোগপত্র জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে দায়ের করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক অজিৎ কুমার দাস ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ মিলে প্রতিষ্ঠানটির গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছলতার প্রয়োজনে  ১৫ আগষ্ট সরকার থেকে উপবৃত্তির টাকা আসে। সুকৌশলে প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি মিলে উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঐ সমস্ত গরীব শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের নিকট হতে আগেই ছবি তোলার কথা বলে একশত থেকে তিনশত টাকা করে আদায় করে নেন। এখন উপবৃত্তির টাকা প্রতিজন শিক্ষার্থীর নামে বারো মাসে ১২ শত টাকা আসলেও র্দূনীতিবাজ শিক্ষক ও সভাপতি ১২ শত টাকার পরিবর্তে গরীব শিক্ষার্থীদের ৫ শত টাকা এবং ৪ শত টাকার পরিবর্তে প্রতিজন শিক্ষার্থীদেরকে ২ শত করে টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের নিকট এই অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নিকট বুঝার পরামর্শ দেন। কিন্তু অভিভাবকরা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদের নিকট জানতে গেলে তিনি উল্টো তাদেরকে হুমকি প্রদান করে তাড়িয়ে দেন। পাশপাশি এই র্দূনীতিবাজ প্রধান শিক্ষক নিয়মিতভাবে স্কুলে আসেন না। আর আসলেও অফিসকক্ষে বসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। এদিকে স্লিপের ট্রেনিংয়ে কমিটির লোক ছাড়া বাহিরের লোকদের ট্রেনিংয়ের বিষয়ে বাধা নিষেধ থাকলেও প্রধান শিক্ষক বাহিরের লোকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অজিৎ কুমার দাসের সাথে মোবাইল ফোসে যোগাযোগ করা হলে,তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন প্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষার্থীর গড় উপস্থিতি ৮৫/. এর কম হবে তাদেরকে ১২ শত টাকার পরিবর্তে ৫ শত টাকা করে দেয়া হয় এবং অবশিষ্ট বাকি টাকাগুলো সরকারের ফান্ডেই জমা থেকে যায়।

এ ব্যপারে পৈন্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমত উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং বলেন সাংবাদিকরা টাকা হলে নিউজ করেন আর টাকা না পেলে নিউজ বন্ধ রাখেন। তিনি নিউজটা বন্ধ রাখার অনুরোধ করে বলেন আমি আপনার সাথে দেখা করে আপনাদেরকে খুশী করব।

এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম অভিযোগ প্রদানের সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের  জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি।