সুনামগঞ্জে লাইফ কেয়ার জিজিটাল ল্যাবে’র প্রতারনার শিকার রোগীরা

0
587
blank
blank

কে এম শহীদুল ইসলামঃ সুনামগঞ্জ শহরের উকিল পাড়ায় অবস্থিত লাইফ কেয়ার জিডিটাল ল্যাব এর রমরমা ব্যবসা। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান উক্ত ডায়গনষ্টিক সেন্টার আসলে কি হচ্ছে বা ডায়গনষ্টিক সেন্টারের ভিতরে কি হচ্ছে আমরা বলতে পারিনা। শুধু সাইন বোর্ডে লেখা আছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাহেব আসেন প্রকৃতি পক্ষে কাউকে কোন দিন চেম্বার করতে দেখি নাই। বিভিন্ন সময় দেখা যায় রিক্সা চালকরা বিভিন্ন রোগী নিয়ে আসে। রোগী যারা আসে তারা খুবই গরীব ও অসহায়। একজন রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায় আপনার কোথায় আসছেন তখন রোগীরা জানেন না কোথায় আসছেন। রোগী বলেন রিক্সা চালক বলেছেন এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভাল ডাক্তার বসে। গ্রাম থেকে আসা নিরিহ অসহায় রোগীরা দালালদের পাল্লায় পড়ে ভুল চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশ্বস্থ সূত্র ও নাম না বলার শর্তে এক রিক্স্ চালক জানায় লাইফ কেয়ার জিডিটাল ল্যাব ডায়গনষ্টিক সেন্টারে কিছু দালাল রাখা হয়েছে তাদেরকে দশ থেকে পনের হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয় রোগী দেওয়ার জন্য। প্রত্যেক রোগী বাবদ ২০০/৩০০টাকা হারে পায় দালালরা। প্রত্যেক রোগীকে দুই থেকে তিন হাজার টাকার পরিক্ষা নিরিক্ষা করা হয় তার পড় ঔষধ দেওয়া হয়। উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ডক্তারদের নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড টানানো আছে তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় একজন ডাক্তার বলেন, তিনি এক বছর ধরে লাইফ কেয়ার জিডিটাল ল্যাব ডায়গনষ্টিক সেন্টারে বসেননা এবং কোন রোগী দেখেন না। সাইনবোর্ড এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুনেছি। লাইফ কেয়ার ডিজিটাল ল্যাব এর মালিককে বলেছি আমার নাম যেন সাইনবোর্ড ব্যাবহার না করা হয়। যদি আমার নামের সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হয় তাহলে আমি ওদের বিরূদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। অথচ উনার সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
একজন রিক্সা চালক জানান আমি তাদের কথায় কোন রোগী নিয়ে যাইনা তাই আমাকে হুমকি দেয় লাইফকেয়ার জিডি ল্যাব এর মালিক ও তার স্ত্রী আরো বলে আমি যদি না যাই তাহলে আমার কাছে টাকা পায় কইয়া আমারে মারব আমি অকন কিতা করতাম যদি কারো কাছে বিচার দেই তাহলে আমারে মাইরা ফালাইব। মোঃ হুমায়ুন রশীদ নামে একজন দালাল সদর হাসপাতাল এর সামনে সব সময় অবস্থান করে। কোন রোগী ভর্তি হলে সে তাদের বুঝিয়ে সুজিয়ে লাইফ কেয়ার ডিজিটাল ল্যাব এ ভাল ডাক্তার আছেন বলে পাটিয়ে দেয়। মোহন ও রজব আলী নামে দুই রিক্সা চালক রোগী নিয়ে যায় বলে জানা যায়।