সেবাখাতে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা: টিআইবি

0
985
blank

বিশেষ প্রতিবেদক: সেবাখাতে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের তালিকায় শীর্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও সর্বোচ্চ ঘুষগ্রহণকারী খাতের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিআরটিএ। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে সেবাখাতে ঘুষের শিকার খানার হার কমলেও ঘুষ আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ-২০১৭’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে টিআইবি মেঘমালা কনফারেন্স রুমে এই প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে সার্বিকভাবে ৬৬.৫% খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত তিনটি খাত হলো— আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা (৭২.৫%), পাসপোর্ট (৬৭.৩%) ও বিআরটিএ (৬৫.৪%)। এ বছর সার্বিকভাবে ঘুষের শিকার হওয়া খানার হার ৪৯.৮%। সর্বোচ্চ ঘুষ গ্রহণকারী তিনটি খাত হলো— বিআরটিএ (৬৩.১%), আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা (৬০.৭%) ও পাসপোর্ট (৫৯.৩%)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অন্তর্ভূক্ত ঘুষ প্রদানকারী খানার ৮৯% ঘুষ দেয়ার কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘‘ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না’’। অর্থাত্ ঘুষ আদায়ে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সার্বিকভাবে খানা প্রতি গড়ে ৫,৯৩০ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৭ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ প্রায় ১০,৬৮৮ কোটি টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের (সংশোধিত) ৩.৪ % এবং বাংলাদেশের জিডিপি’র ০.৫%।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে কোনো কোনো খাতে দুর্নীতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এগুলো হলো— গ্যাস, কৃষি ও বিচারক সেবা। কমেছেও বেশ কয়েকটি খাতে। এগুলো হলো— শিক্ষা, পাসপোর্ট ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান।
২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে সেবা খাতে ঘুষের শিকার খানার হার কমলেও ঘুষ আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।