গোলাম মাওলা রনি: ২০১৬ সালের বিজয়ের মাসে কেনো জানি বারবার স্বাধীনতার স্বাদ-আহ্লাদ এবং স্বপ্ন বাসরের নানা উপাখ্যান এবং কীর্তিকাহিনীর কথা মনে ভাসছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস এবং বর্তমান বছরের বিজয় দিবসের মৌলিক পার্থক্যের কথাও মন-মস্তিষ্কে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দিনটির কথা খুব বেশি মনে করতে পারছি না সেকালে নিজের স্বল্পবয়সের কারণে। কিন্তু বিজয়ের পরে যখন বিদ্যালয়ে যেতে শুরু করেছিলাম তখন পাঠ্যসূচিতে থাকা একটি নিবন্ধের কথা কিছুতেই ভুলতে পারছি না। নিবন্ধের কাহিনীতে এক শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাধীনতার প্রকৃত সংজ্ঞা দিতে বললেন, সবাই যার যার মতো উত্তর দিলো। কিন্তু শিক্ষকের কাছে একটিও গ্রহণযোগ্য বলে মনে হলো না। তিনি সবাইকে সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করে পরের দিন উত্তর দিতে বললেন।
এক ছাত্র-শিক্ষকের প্রশ্নটি মস্তিষ্কে ধারণ করে বাড়িতে ফিরল এবং চমৎকার একটি উত্তর তৈরির জন্য চেষ্টা-তদ্বির করতে লাগল। বাড়িতে ফিরে ছাত্রটি দেখল যে, তার মা ঘরে নেই। তার একমাত্র ছোট বোনটি এগিয়ে এসে জানালো যে, আম্মার ফিরতে দেরি হবে। বিকেলের নাশতার জন্য আম্মা দুটো পিঠা তৈরি করে রেখে গিয়েছেন। একটি ছাত্রটির জন্য এবং অন্যটি তার বোনের জন্য। ছাত্রটি এবং তার বোন পিঠাপিঠি বয়সের। ফলে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব যেমন প্রবল তেমনি ঝগড়াঝাটির পরিমাণও নেহায়েত কম নয়। তারা সময় ও সুযোগ পেলে নিজের কর্তৃত্ব ও খবরদারি একে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করত। তাদের বাবা-মা তাদের যতই বারণ করতেন তারা ততই প্রবলবেগে নিজেদের কর্তৃত্ব জাহির করত। বাবা-মায়ের দেয়া উপহার কিংবা পরিবারে ভালো কোনো খাবার-দাবারের আয়োজন হলে ভাই-বোন পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিজের জন্য শুধু ভালোটি হাসিল করেই ক্ষান্ত হতো না- বরং একজন অন্যজনকে বঞ্চিত করতে পারলে এক ধরনের পুলক অনুভব করত।
আমাদের আলোচ্য ভাই-বোনের জুটিটি সত্যজিৎ রায়ের অপূর্ব সৃষ্টি পথের পাঁচালীর দুর্গা ও অপুর মতো ছিল না। তারা একান্তে ঝগড়াঝাটি কম করত কিন্তু বাবা-মায়ের সামনে তাদের পারস্পরিক শক্তি প্রদর্শনের মাত্রা বাড়িয়ে দিত। ঘটনার দিন ছাত্রটির মা বাড়িতে না থাকায় সে নিজেকে প্রবল স্বাধীন এবং বেপরোয়া বলে মনে করতে লাগল। বোনের মুখে পিঠার কথা শোনামাত্রই সে সিদ্ধান্ত নিলো যে, দুটো পিঠা সে একাই খেয়ে ফেলবে এবং বোনকে কিছুই দেবে না। কিন্তু তার বোন যখন দুটো পিঠা তার সামনে রাখল তখন প্রবল স্বাধীনতার আনন্দ ও উল্লাস নিয়ে সে প্রথমে পিঠার দিকে তাকালো এবং পরে বোনের দিকে বিজয়ীর বেশে তাকাতে গিয়ে জীবনে প্রথমবারের মতো প্রচণ্ড হোঁচট খেলো। বোনটিকে দেখে তার প্রবল মায়া হলো। সে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় এবং নিজের অজান্তে দুটো পিঠার মধ্যে ভালো পিঠাটি বোনের দিকে এগিয়ে দিলো।
ভাইয়ের কাছ থেকে অযাচিত ব্যবহার পেয়ে বোনটি যারপরনাই আশ্চর্য হয়ে গেল। কৃতজ্ঞ দুটি আঁখি মেলে সে ভাইটির দিকে তাকালো। তারপর অনাবিল প্রশান্তির এক হাসি দিয়ে ভাইয়ের দেয়া উপহার গ্রহণ করল। ভাইটি জীবনে প্রথমবারের মতো বোনের চোখের কৃতজ্ঞতা, অন্তরের প্রশান্তি এবং চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ দেখে যারপরনাই উৎফুল্ল হয়ে উঠল। ঠিক ওই সময়টিতে তার মনে শিক্ষকের প্রশ্নটির উদ্রেক হলো। তার মনে হলো- এবার সে স্বাধীনতার প্রকৃত সংজ্ঞা দিতে পারবে। পরের দিন ক্লাসে শিক্ষক আসার সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেটি দাঁড়িয়ে বলল- যা করলে সত্যিকার আনন্দ পাওয়া যায় তারই নাম স্বাধীনতা। শিক্ষক মহোদয় ছাত্রের মুখ থেকে স্বাধীনতার অভিনব সংজ্ঞা শুনে খুশি হয়ে বললেন- ঠিক বলেছো! স্বাধীনতা আসলে এমনটিই হওয়া উচিত।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে স্বাধীনতার সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিল তা কালের বিবর্তনে ক্রমবর্ধমান হারে ক্ষীণতর এবং হতাশাযুক্ত নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং সাক্ষ্যতা অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু বলে সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এসব বিষয়ে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়েছি। গণতন্ত্রহীনতা, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর খামখেয়ালি, জাতীয় অর্থনীতির বিরাট অংশ সীমিত লোকজন কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ, লুটপাট, দুর্নীতি, বিচারহীনতা, জুলুম-অত্যাচার এবং একরোখা এবং গোঁয়ার্তুমির রাজনীতির কারণে দেশের মানুষের স্বপ্ন তখন চন্দ্রলোক ছাড়িয়ে মঙ্গল গ্রহের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
স্বাধীনতার স্বাদ আমরা আস্বাদন করছি ভোটারবিহীন নির্বাচনের দুঃসহ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে। ভোট জালিয়াতি, জাল ভোট প্রদান, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই এবং ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর সংস্কৃতি এখন আমাদের স্বাধীনতার প্রাচীনকালের ইতিহাস। ভোটের ফলাফল ইচ্ছামতো বানিয়ে নেয়া, যাকে ইচ্ছা তাকে ভোটমঞ্চে দাঁড় করিয়ে রঙ্গমঞ্চের কাহিনীর মতো রাজা-উজির-কোতোয়ালের মতো মেম্বার-চেয়ারম্যান, এমপি ইত্যাদি বানিয়ে ফেলা এবং লোকদেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট ভোট খেলা ও মধ্যযুগীয় ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিককালের ইতিহাস হলো অপারেশন ফেনী স্টাইল। ইতঃপূর্বের মাগুরা স্টাইল এবং তেজগাঁও স্টাইলের গডফাদার হিসেবে যার আবির্ভাব হয়েছে তার নাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সংস্কৃতি।
আমাদের স্বাধীনতার আহ্লাদের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হলো জোর করে স্বীকৃতি আদায় এবং বাধ্য হয়ে সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শনের ভান করা। সমাজ ও রাষ্ট্রের এক শ্রেণীর ক্ষমতাবান আশা করেন- সবাই তাদেরকে জি হুজুর জি হুজুর করবে। তারা যা করবে তা অনুসরণ না করে তারা যা বলবে তা অনুসরণ করার জন্য বাধ্য করবে। কোনো নির্বোধ যদি তাদের এই দুর্বোধ্য চরিত্র অনুধাবন করতে না পারে তবে তারা একটি গল্পের মাধ্যমে বিষয়টি আমজনতার কাছে খোলাসা করার চেষ্টা করেন। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে বলেন- ওহে ক্ষমতাধর মহাজন, দয়া করে বুঝিয়ে বলুন আপনাদের কর্ম অনুসরণ না করে কেনো এবং কিভাবে আপনাদের উপদেশ পালন করব? মূর্খজনের এহেন প্রশ্নে তারা নিম্নের গল্পটি বলে থাকেন-
দেবালয়ের পূজারী তার ভক্তদের কাছে ভালো মানুষ হয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করার উপায় সমূহ বর্ণনা করছেন, তিনি বলছেন- মদ্যপান করবে না। ঘুষ দুর্নীতি এবং পরকীয়া করা তো দূরের কথা-ওগুলোর কাছাকাছিও ঘেঁষবে না। স্ত্রী-পুত্র ও কন্যাদের উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত করবে। তাদেরকে শালীন পোশাক-আশাক পরিধান করাবে এবং মন্দ সংসর্গ থেকে দূরে রাখবে। তাদের উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত করবে এবং তারা যেন মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে সেই শিক্ষা দেবে। পূজারীর বক্তব্য শুনে এক ঠোঁটকাটা প্রকৃতির ভক্ত উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেনÑ মহারাজ এটা কী ধরনের কথাÑ আপনি নিজে যা করেন না তা কেন আমাদের করতে বলেন? আপনি শিখার সঙ্গে কী করেন তা সবাই জানে। আপনার বউ-কন্যা সব সময় টেডি পোশাক পরে আর আপনার ছেলেরা করে না এমন অপকর্ম নেই। ভক্তের কথা শুনে মহারাজ শান্তশিষ্ট কণ্ঠে বললেন উত্তেজিত হই না। বোঝার চেষ্টা করো- আমি তোমাদের আমার বক্তব্যগুলো অনুসরণ করতে বলেছি- আমার কর্ম নয়। সুতরাং আমি যা বলি তা মনোযোগসহ শোনো। আমি কী করি আর আমার বউ-ছেলেমেয়ে কী করে সে দিকে নজর দেয়ার কোনো উপদেশ তো আমি দেইনি!
দেবালয়ের পূজারীর মতো চরিত্রের মানুষেরা আমাদের সমাজের উঁচুতলার আসনগুলো দখল করে যেভাবে মোনাফেকিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে তাতে ব্যক্তি-স্বাধীনতার আহ্লাদ কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তা সহজেই অনুমেয়। বহু আগে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন- বাঙালির চরিত্র হচ্ছে- তারা যা বলে তা করে না। ইদানীংকালে আমাদের অনেকের চরিত্র রবীন্দ্রনাথের আপ্তবাক্যকে অতিক্রম করে ফেলেছে। এখন আমাদের বৃহদাংশ ঘুষ খায় দশজনের কাছ থেকে কিন্তু কাজ করে দেয় একজনের। বাকিরা ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে পেটোয়া বাহিনী দ্বারা ঠ্যাঙ্গানো হয়। আমাদের সমাজে উপকারীর উপকার বা প্রতিদান প্রদানের ঘটনা বই-পুস্তকে স্থান নিয়েছে। উপকারীর অপকার না করা পর্যন্ত কিছু লোকের ঘুম হারাম হয়ে যায়।
মিথ্যাচার, অনাচার এবং ব্যভিচারের উন্মত্ত দম্ভ এখন অনেকের স্বাদ এবং আহ্লাদে পরিণত হয়েছে। নিজেদের ভ্রষ্টাচার এবং পাপাচারকে জুলুমের হাতিয়ার বানিয়ে নিরীহ মানুষের জীবনকে তছনছ করে দেয়ার মতো উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে কিছু মানুষের মধ্যে। তাদের রক্তচক্ষুর সঙ্গে তুলনা করা যায় এমন কোনো জানোয়ার বনভূমিতে নেই। তাদের লোভ-লালসা এবং নৃশংসতার মাত্রা রূপকথার রাক্ষস-খোক্ষসদের গল্পকেও হার মানায়। তাদের ধনাকাক্সক্ষা এবং ধন লাভের লোভ আরব্য রজনীর আলীবাবা ও চল্লিশ চোরের কাহিনীকেও হার মানায়। তাদের লুটপাটের নির্মমতা পর্তুগিজ জলদস্যু কিংবা ভূমধ্যসাগরের মধ্যযুগের বর্বর দস্যুদের ইতিহাসকে ম্লান করে দেয়। এসব অনিয়ম, দুরাচার, অত্যাচার ও জুলুমকে যারা স্বাভাবিকভাবে জীবনের একান্ত অনুসর্গ হিসেবে মেনে নিতে পারে তারা হয়তো বর্তমানের বাস্তবতায় নিজেদের স্বাদ-আহ্লাদ উপভোগ করতে পারে।
সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্যের সংজ্ঞাও পাল্টে গিয়েছে। এখন আর মন্দ লোকদের সমাজ ঘৃণা করে না। মন্দ লোকেরা সমাজকে ভয় পায় না। তারা রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা এবং নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করে না। তাদের শক্তি-সামর্থ্য এবং অত্যাচার করার দুর্বার ক্ষমতার কাছে নীতিবোধ, মান-সম্মান এবং স্বাধীন চিন্তা-চেতনা ও বাকস্বাধীনতা রীতিমতো জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফলে সর্ব নিকৃষ্ট মন্দ শ্রেণীর লোকেরা প্রতিটি পাড়া-মহল্লার কর্তৃত্ব গ্রহণ করে সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা হরণ করে ফেলেছে। এরা একে অপরের সঙ্গে অর্থাৎ একজন মন্দলোক অন্য মন্দলোকের সাথে আত্মীয়তা কিংবা মিত্রতার বন্ধন তৈরি করে সারা দেশে অমঙ্গলের বিরাট এক নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলেছে। এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একমাত্র খোদায়ী সাহায্য ছাড়া অন্য কোনো প্রতিরক্ষা মানুষের জানা নেই।
মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্ন ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আগামী এক বছর পর কী হবে এমন দূরদর্শী স্বপ্ন দেখার মতো মানুষ ক’জন আছে তা আমার জানা নেই। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র হলো- মানুষ তার স্বাদ-সাধ্য-আশা-আকাক্সক্ষা ইত্যাদি নিয়ে সুন্দর সুন্দর স্বপ্নবাসর রচনা করবে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের একটি প্রেমময় সেতুবন্ধন রচনা হবে। দেশমাতৃকার জন্য এক ধরনের মায়া মমতা ও শ্রদ্ধা ভালোবাসার টান সৃষ্টি হবে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের কিছু লোক হবেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় এবং জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার মূর্তপ্রতীক। শত রাজনৈতিক বিবাদ ও বিসংবাদ সত্ত্বেও দেশের প্রয়োজনে যখন মানুষ এক হয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর আস্থা স্থাপনের সক্ষমতা অর্জন করে তখন ধরে নেয়া হয় যে, সেখানকার মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্ন মন-মস্তিষ্কে লালন করছে।
২০১৬ সালের বিজয় দিবসে আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ-আহ্লাদ কোন স্তরে রয়েছে কিংবা আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে আমরা কিরূপ স্বপ্ন দেখার সক্ষমতা এবং মন-মানসিকতা অর্জন করেছি তা বিবেচনার ভার সম্মানিত পাঠকদের ওপর রেখে আজকের নিবন্ধের ইতি টানছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.