স্বামীর কবরে চিরনিন্দ্রায় শায়িত আসমা কিবরিয়া

0
986
blank
blank

ঢাকা: বনানী কবরস্থানে স্বামীর কবরেই শায়িত হয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএমএএস কিবরিয়ার স্ত্রী প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আসমা কিবরিয়া। সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। আসমা কিবরিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রমূখ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে প্রথম এবং বাদ মাগরিব বনানী কবরস্থান মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সন্ধ্যায় স্বামীর ৬৪৩০ নম্বর কবরে তাকে দাফন করা হয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ বিশিষ্টজনেরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

শোকবানীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মৃতুত্যে দেশ একজন সমাজসেবী ও গুণী চিত্রশিল্পীকে হারালো। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। শোক বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, একজন চিত্রশিল্পী হিসেবে দেশের চিত্রকলার ইতিহাসে আসমা কিবরিয়ার নাম উল্লেখযোগ্য অবস্থানে থাকবে। তার মৃত্যুতে দেশের চিত্রকলার ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। খালেদা জিয়া মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত বিনয়ী ও মৃদুভাষী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছিলেন আসমা কিবরিয়া। গ্রেনেড হামলায় শাহ কিবরিয়া নিহত হওয়ার পর ‘শান্তির স্বপক্ষে নীলিমা’ ও ‘রক্তের অক্ষরে শপথের স্বাক্ষর’ নামক অভিনব ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সারা দেশে আলোড়ন তোলে তার এ কর্মসূচি। কিবরিয়া দম্পতির পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া একজন স্বনামখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং মেয়ে ড. নাজলী কিবরিয়া বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচজন। স্বামী হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে গত ১০ বছরেরও বেশি সময় রাজপথে সরব থাকেলেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে পারেননি তিনি।