সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ জগন্নাথপুুর-রানীীগঞ্জ রাস্তা

0
859
blank
blank

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবহেলার জন্য ৫ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার জন্য ভাটি অঞ্চলের জনগনের ভোগান্তির শেষ নেই। এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মধ্যদিয়ে নির্মিত ঢাকা-সুনামগঞ্জ বাইপাস মহাসড়কে জগন্নাথপুর হতে রানীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরছে।রাস্তার এ দূরাবস্থার কারনে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম এ সড়কে যানবাহন চলাচলের জন্য প্রবাহমান কুশিয়ারা নদী পারাপারে রানীগঞ্জে ফেরী থাকায় প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যানবাহন চলাচল করে আসছে। ট্রাক, ট্রলি সহ প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করায় রাস্তায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন সময় দূর্ঘটনা ঘটে আসছে।

এ ব্যাপারে রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সহ ভূক্তভোগী জনতাদের মধ্যে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামান্য এ রাস্তা পুরো জগন্নাথপুর উপজেলা বাসীকে চরম সমস্যায় ফেলে দিয়েছে।বর্তমান সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের অংশ হিসেবে,এ সড়কে কুশিয়ারা নদীতে রানীগঞ্জ ব্রীজ নির্মাণের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ব্রীজের জন্য বালু পাথর নিয়ে আসা ভারী ট্রাক চলাচল করায় গর্ত সহ প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা চরম আকার ধারন করে বিপদজনক সড়কে পরিনত হয়েছে।

সড়কটির বর্তমান বেহাল অবস্থা নজরে আসলেও সংস্কারের কোন প্রকার উদ্দ্যোগ অদ্যাবধি নেয়া হয়নি। উল্লেখ্য,রানীগঞ্জ হতে জগন্নাথপুর মাত্র প্রায় ৫ কিঃমি দুরত্বের রাস্তা অতীতে ১৫ মিনিট সময় লাগলেও বর্তমানে রাস্তার দূরাবস্থার কারনে যানবাহনে যাতায়াতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের ও শেষ নেই।এসব ভাঙ্গাচোরা রাস্তা ঘাট নিয়ে বারবার গণমাধ্যমে ফলোআপ করে সংবাদ ছাপা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেনে-বুঝে নিলজ্জের মতো এড়িয়ে যাচ্ছেন। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য এলাকাবাসী সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষেও কাছে জোর দাবী জানান।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,২ কিলোমিটার রাস্তার কাজের অনুমতি পেয়েছি বাকী রাস্তার কাজের জন্য কাগজ জমা করেছি। অনুমোদন হলে কাজ করানো হবে।