৩২ ধারা নিয়ে ভীতির কারণ নেই : আইনমন্ত্রী

0
559
blank

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (৩২ ধারা) ফলে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধ হবে।গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে সাংবাদিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। অহেতুক ভীতি সৃষ্টি করার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী চান না কেউ অহেতুক হয়রানির শিকার হোক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।

সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বিলুপ্তির বিধান রেখে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে নতুন আইনের ৩২ ধারা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

এ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিধিবদ্ধ সংস্থার কোনো গোপনীয় বা অতি পোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস বা কম্পিউটার নেটওয়ারর্কে ধারণ প্রেরণ সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে সেটা হবে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ। সেটার শাস্তি হলো সর্বোচ্চ ১৪ বছর জেল বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা। অনেকে মনে করছেন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাধা হবে এ ধারাটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তি একটি অপরাধ, গুপ্তচরবৃত্তি তো আগেও আইনে অপরাধ ছিল। এ আইনের মধ্যে যেটা করেছি সেটা হচ্ছে, ওই যে কম্পিউটার সিস্টেম, ইনফরমেশন টেকনোলজির যে সিস্টেম ওই সিস্টেমের মাধ্যমে যদি কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করে সেটা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেটার সঙ্গে সাংবাদিকতার কোনো সম্পর্ক আছে বলে তো আমার মনে হয় না। আমার মনে হয় এটা অহেতুক ভীতি। আর সমালোচনার ক্ষেত্রে সমালোচনা করা।’