৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে বিয়ে করলেন শ্বশুর!

0
541
blank
blank

অতিথি প্রতিবেদক: নিজের স্ত্রী সন্তান রেখে ছেলের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে, এ অমানবিক ঘটনায় সহায়তা করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ.ক.ম তাবারিয়া চৌধুরী।
জানা গেছে, মহিষপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে ইউসুফ আলীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের জাবড়ি কাজিপাড়া গ্রামের মৃত জোবদুল হকের মেয়ে সাথী খাতুনের প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পুত্রবধূর দিকে কু-নজর পড়ে শ্বশুর বাবর আলীর। প্রায় দুই মাস আগে পুত্রবধূকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় শ্বশুর বাবর আলী।
খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আ.ক.ম তাবারিয়া চৌধুরী লোক পাঠিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘোরিয়া হতে তাদের ধরে ধাইনগর ইউপি কার্যালয়ে আটকিয়ে রাখে। এবং গত ২২ জুন স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক বসানো হয়।

শালিসে স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নাসিমা বেগমকে দিয়ে বাবর আলীকে তালাক দেয়া হয়। এরপর ছেলে ইউসুফ আলীকে স্ত্রী সাথী খাতুনকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয়। এরপর পরই দেড় লাখ টাকা মোহরে পুত্রবধূ সাথীর সঙ্গে শ্বশুর বাবর আলীর বিয়ে পড়ানো হয়।
তালাক এবং বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করেন একই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আনারুল ইসলাম। এরপর বাবর তার নববধূকে নিয়ে অবস্থান করছেন মহিষপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে। এ বিষয়ে ধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.ক.ম তাবারিয়া চৌধুরী জানান, সাথী খাতুন প্রায় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রয়েছে। তার গর্ভের সন্তান শ্বশুর বাবরের বলে শালিসে উপস্থিত সবাইকে জানায় সাথী।

তিনি আরো জানান, প্রায় ৬ মাস আগে বাবরের স্ত্রী তাকে তালাক দেয় এবং দুই মাস আগে ছেলে ইউসুফ আলী বউ সাথীকে তালাক দেয়। নিয়ম মোতাবেক তালাক হওয়ায় মানবিক কারণে তিন কাঠা জমি ও দেড় লাখ টাকা মোহর ধার্য করে বাবর ও সাথীর সঙ্গে বিয়ে পড়নো হয়।

এ প্রসঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি লোকমুখে তিনি শুনেছেন। এঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।